এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্ট। আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রণীত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ অনলাইন ভিত্তিক।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন মডিউলটিতে ইতোমধ্যে এক লাখ ৬৬ হাজার ৭২০ জন করদাতা অনলাইনে বিআইএন গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে অনলাইনভিত্তিক রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। ৪২ হাজারেরও বেশি অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। সব নিবন্ধিত তালিকাভুক্ত ব্যক্তি যাতে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন, সে লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঘোষণা বাস্তবায়ন এবং অন্যদিকে খরচ কমিয়ে ইজি অব ডুইং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশকে অনেক এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয়ে চালু হচ্ছে এই পেমেন্ট মডিউল। ইতোমধ্যে ই-পেমেন্ট মডিউলটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ভ্যাট সংক্রান্ত সব কর (ভ্যাট, টার্নওভার কর, সম্পূরক শুল্ক, জরিমানা, সুদ ইত্যাদি) ই-পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে পরিশোধ করতে পারবেন। বর্তমানে এইচএসবিসি, প্রাইম ও মিডল্যান্ড ব্যাংকের মাধ্যমে ই-পেমেন্ট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব ব্যাংককে এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বাংলাদেশের মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এবিএম আবদুল ফাত্তাহ, ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, এনবিআরের সিস্টেম ম্যানেজার মো. শফিকুর রহমান, এনবিআরের সদস্য মো. জামাল হোসেন ও মো. মাসুদ সাদিক, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবীর, এইচএসবিসি ব্যাংকের সিইও মাহবুব-উর-রহমান প্রমুখ।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত ব্যক্তি নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ যেকোনো প্রদেয় কর সহজে, ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় এবং কম সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০২০
এসএমএকে/টিএ