এখন সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে তার। তার মতো একই কথা বললেন হামিদ, মিশুসহ আরও অনেকে।
এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম না বাড়লেও আগের চড়া দামেই অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আদা, রসুন, চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল। তবে কিছুটা কমেছে মুরগি, গরু ও খাসির মাংসের দাম।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল বাজার, খিলগাঁও বাজার ও মালিবাগ বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
এসব বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা-চিচিঙা-ধুন্দল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ও উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি (ছোট) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লতি (বড়) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৮০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকায়।
প্রতিকেজি ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা, ছোট আলু ৪৫ টাকা, টমেটো (ছোট) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো (ফ্রেশ) বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে।
তবে দাম কমেছে বরবটি, পেঁপে, মুলা, কাঁচা মরিচ ও ঢেঁড়সের । কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। কেজিতে ১০ টাক কমে প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ও কাকরোল ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মুলা কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।
প্রতিহালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকা, প্রতিপিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকায়।
দাম অপরিবর্তিত আছে কলা, বড় কচু, পুদিনা পাতা, ধনিয়া পাতা ও মিষ্টি কুমড়ার। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে শাক। বর্তমানে এসব বাজারে প্রতিআঁটি (মোড়া) কচুরশাক বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, মুলার শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা মোড়া বিক্রি হতে দেখা গেছে।
দাম কমেছে গরু ও খাসির মাংসের। এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা, মহিশের মাংস ৫৮০ টাকা, খাসির মাংস কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা, প্রতিকেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে (মানভেদে) ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আদা (মানভেদে) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন তেল (লাল) বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০৫ টাকা লিটার, খোলা (সাদা) সয়াবিন ১০০ টাকা লিটার। খোলা সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা লিটার।
প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, মিনিকেট চাল পুরান ৬০ টাকা, বাসমতি চাল ৬০ থেকে ৬২ টাকা, গুটি চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম চাল ৪৬ টাকা, স্বর্ণ চাল ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, আটাশ চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, আতপ চাল ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, সরকারি মোটা চাল ৪২ টাকা, এক সিদ্দ চার ৪০ টাকা, পোলাওর চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজিদরে।
প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা, এঙ্কর ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১২০ টাকা, মসুর (মোটা) ৮০ টাকা কেজিদরে।
সবজির বাড়তি দাম নিয়ে ভিন্নমত দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে। বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সিজন না হওয়ায় বর্তমান সিজনে প্রতিবছর এমন বাড়তি দাম থাকে। আর ক্রেতারা বলছেন, সিজন না হলেও কোনো সবজির ঘাটতি নেই। এতে কেন দাম বাড়বে?
এ বিষয়ে ফরিদ নামে যাত্রাবাড়ী বাজারের এক ক্রেতা জানান, সবজির সিজন না হলেও বাজারে কোনো কিছুর ঘাটতি নেই। তবুও বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে। বাজার তদারকি না করলে এমনভাবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে চলে যায় সবকিছু। তারা ইচ্ছে মাফিক দাম বাড়িয়ে দেন।
তবে এ ক্রেতার সঙ্গে একমত নন এ বাজারের বিক্রেতা হাসান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির ঘাটতি নেই এটা সত্য আবার তুলনামূলক জিনিসপত্রও নেই। তবে এখন সবজির সিজন না হওয়ায় প্রতিবছরের এসময়টাতে দাম বাড়তি থাকে। আবার বন্যা শুরু হয়েছে। দাম আরও বাড়তি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২০
ইএআর/আরবি/