খুলনা: বিশাল দেহের অধিকারী হলেও বিদ্যুতের গতিতে চলাফেরা আর চিতা বাঘের সঙ্গে গায়ের রঙের মিল থাকায় ষাঁড়টির মালিক নাম রেখেছিলেন চিতা বিদ্যুৎ। পাঁচ বছর আগে জন্ম দেওয়া এ ষাঁড়টি এখন বিশাল আকৃতির হয়েছে।
আসছে ঈদুল আজহা সামনে রেখে বাড়িতে বসেই গরুটি বিক্রি করতে চান জাফর মোল্লা। ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে তিনি গরুর দাম হেঁকেছেন ১০ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বিকেলে গরুর মালিক জাফর মোল্লা বলেন, কালো আর সাদা রঙের সুঠাম স্বাস্থ্যের ষাঁড়টির বিরাম্মা জাতের। দুই বছর আগে তিনি গরুটি ২ লাখ ৩২ হাজার টাকায় কিনেছেন। দেশীয় পদ্ধতিতে নিজের খামারে মোটা তাজা করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন তার এই গরুটি খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলের খামারিদের যেসব গরু রয়েছে, সেসব গরুর মধ্যে এটি সর্ববৃহৎ।
কত কেজি মাংস হতে পারে জানতে চাইলে জাফর বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয় কসাইরা বলেছেন গরুটির মাংস হবে প্রায় ১৯/২০ মণ।
এদিকে চিতা বিদ্যুতকে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়ছে। সবাই একনজর দেখতে চায় বিশালাকৃতির গরুটিকে।
তিনি বলেন, নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি চিতা বিদ্যুতকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওর আকৃতি বেড়ে গেছে। পদ্মার ওপাড়ে আমার এই ষাঁড়টির সঙ্গে লড়াই করে কোনো গরু টিকতে পারেনি। যেকোনো লড়াইয়ে প্রথম হয়েছে আমার এ ষাঁড়।
গরুর মালিক আরও বলেন, ষাঁড়টি প্রতিদিন খড়, ভুষি, কুড়া, খৈল ও ঘাস খায়। এই ষাঁড়টি ছাড়া আমার আরও ৮টি গরু রয়েছে। আমার খামারের সুখ্যাতি রয়েছে এলাকাজুড়ে।
তিনি জানান, গরুটি তিনি হাটে তুলবেন না। যদি বিক্রি হয় তাহলে বাড়িতে বসেই হবে। আর বাড়িতে বসে যারা গরুটি কিনবেন তাদের তিনি আদরের ষাঁড়টিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এমআরএম/এএটি