ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬২৯২ কোটি টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬২৯২ কোটি টাকা ...

ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি-বিদেশি ব্যাংকগুলোর কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা গেলো ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা বেশি।

কৃষি ও পল্লীঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসগুলোর জন্য ১৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৭৪৯ দশমিক শূন্য ৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করেছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৬ জন। যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৭ জন নারী ৮ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন। ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৮ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৭ হাজার ১৭৯ জন কৃষক ২১ কোটি ২১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের কাছে কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশকিছু সময়োপযোগী বিষয় সংযোজিত হয়েছে।

এ নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়গুলো হচ্ছে: গয়াল ও তিতির পাখি পালনের জন্য ঋণ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার সংযোজন, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঋণ দেওয়া, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় গরু মোটাতাজাকরণে ঋণ দেওয়া, ঋণ নিয়মাচারে একর প্রতি ফসলের ঋণসীমা বাড়ানো।

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কৃষিখাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনা করছে। এছাড়া সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় তৈল ও মসলা জাতীয় ফসল (ভুট্টা ছাড়া) শস্য ও ফসলখাতে স্বল্প সুদে (চার শতাংশ হারে) কৃষকদের অনুকূলে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে বিদ্যমান থাকবে।

তফসিলি ব্যাংকগুলো চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ১৭১ কোট ৯৯ লাখ টাকা এবং সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় শস্য ও ফসল খাতে ২৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০২০
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।