যশোর: ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সংবাদে আবারো অস্থির হয়েছে উঠেছে যশোরের পেঁয়াজের বাজার। এক রাতের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দামই বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
পাইকারি-খুচরা সব জায়গায় পেঁয়াজের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দাম বাড়িয়েছেন পেঁয়াজ আমদানিকারকরা, এমনটিই বলছেন পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের বাজার নজরদারির অভাবে পেঁয়াজের দাম নিজের ইচ্ছে মতো বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় যশোরের বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৪২ টাকা। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকেই পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। এদিন যশোরের বড় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৭০ টাকা কেজি দরে।
মঙ্গলবার বিকেলে বড় বাজারে বাজার করতে আসা সার্কিট হাউজ এলাকার বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার পেঁয়াজের দাম কম ছিল। কিন্তু ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার অজুহাতে হঠাৎ করেই ব্যবসায়ীরা একযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে পেঁয়াজ কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন। পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও তারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
তিনি জেলা প্রশাসনসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পেঁয়াজের এই ঊর্ধ্বমুখী দাম কমাতে বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানান।
শহরের বড় বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ার খবরে অনেক ক্রেতাই বেশি করে পেঁয়াজ ক্রয় করে মজুদ করছেন। তাছাড়া আমরা পাইকারি দামে যা ক্রয় করছি, সেই দামে খুচরা বিক্রি করছি। পেঁয়াজ আমদানিকাররাই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন।
যশোরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যাতে ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের কারণে কৃত্রিম সংকট করে পেঁয়াজের দাম না বাড়াতে পারেন, সেই লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
ইউজি/এইচএমএস/এসআরএস