খুলনা: খুলনার বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। কেজিতে কমেছে দুই থেকে ৩ টাকা।
সরকার দুই দফায় আলুর দাম বেঁধে দিলেও বাজারে সরকারের নির্দেশনার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। প্রথমে খুচরা পর্যায়ে আলুর কেজি সর্বোচ্চ ৩০ টাকা এবং পরবর্তীতে ৩৫ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। তবে খুলনার ভোক্তারা এক কেজি আলু ৪৮-৫০ টাকার নিচে কিনতে পারছেন না।
বাজারে নতুন ধানের চাল আসায় দাম কিছুটা কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে বড় বাজারের মুরাদ ট্রেডিংয়ের পরিচালক জিয়াউল হক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, চালের দামি কিছুটা কমেছে। কেজি প্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে। বাসমতি ৬১ টাকা, নাজির শাইল ৫৫ টাকা, মিনিকেট প্রকারভেদে ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা, ২৮ বালাম ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা, ২৮ আতপ ৪৪ টাকা, গাজী আতপ ৪৮ টাকা, চিনিগুড়া ৬২ থেকে ৮৩ টাকা, কাটারি আতপ ৫৫ টাকা, কাটারি সিদ্ধ ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, সরকার মিল মালিকদের যে দামে চাল বিক্রি করতে বলেছে সে দামে পাইকারি বিক্রেতাদের চাল দিচ্ছে না মিল মালিকরা। যে কারণে চালের দাম ক্রেতাদের সন্তোষজনকভাবে কমেনি।
একই বাজারের মেসার্স মোর্তজা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোর্তজা মাহমুদ তুষার বলেন, চালের দাম কিছুটা কমেছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
অপরদিকে, পেঁয়াজের দামও নিম্নমুখী। এতে কিছুটা স্বস্তিতে সাধারণ ক্রেতারা। সরেজমিনে দেখা গেছে, খুলনার বড় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহও প্রচুর। মিয়ানমারের ভালো মানের পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা, চীনা পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পাকিস্তানি পেঁয়াজ ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা অমর সাহা বলেন, পেঁয়াজের দাম যেভাবে বেড়েছিলো তা থেকে অনেকটা কমে এসেছে। আগে যেখানে দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি করতাম। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সেই পেঁয়াজ এখন ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/