ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঘাট স্থানান্তরে ব্যবসায় মন্দা ফল ব্যবসায়ীদের

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
ঘাট স্থানান্তরে ব্যবসায় মন্দা ফল ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় মন্দা ফল ব্যবসায়ীদের। ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটের বাংলাবাজার ঘাট। ঘাটের লঞ্চ টার্মিনালের ফলের দোকানগুলো বাহারি ফলের পসরা সাজিয়ে বসে রয়েছে।

দোকানে সাজানো ফলের শোভা থাকলেও ক্রেতা কমে গেছে। গত প্রায় দেড় মাস ধরে নতুন ঘাটে আসা এসব দোকানে আগের তুলনায় বিক্রি কমে গেছে। লঞ্চঘাটে নির্দিষ্টস্থানে লঞ্চ না ভিড়ার কারণে বিক্রি কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

ঘাটের ফল বিক্রেতাদের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ীতে যখন ঘাট ছিল তখন পন্টুনে যাত্রী নেমে নির্দিষ্ট টার্মিনাল দিয়ে আসা-যাওয়া করতো। যাত্রীদের চলাচলের পথেই ছিল ফলের দোকানগুলো। বর্তমানে ঘাট সরিয়ে বাংলাবাজারে স্থানান্তরের পর একাধিক ঘাটেই লঞ্চ এসে ভিড়ে। যাত্রীরা লঞ্চ থেকে নেমে বিভিন্ন দিক দিয়ে টার্মিনাল পার হয়। এ কারণে ফলের দোকানগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় বিক্রি কমে গেছে। একইসঙ্গে ঘাট স্থানান্তরের পর মৌসুমী ফল বিক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। নতুন ঘাটে আসার পর ঘাটকেন্দ্রিক এলাকার লোকজনের নতুন নতুন দোকান বেড়েছে। বর্তমানে বাংলাবাজার ঘাটে ফলের দোকানের সংখ্যা রয়েছে ৬১টি। আগের ঘাটে ছিল মাত্র ৩১টি। দোকান বেড়ে যাওয়াও বিক্রি কম হওয়ার একটি কারণ বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে শনিবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, লঞ্চের দুটি টার্মিনালসহ আশপাশের দোকানগুলোতে ফল সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতার সংখ্যা খুব একটা নেই। ঘাটে নেমে যাত্রীরা ভিন্ন ভিন্ন টার্মিনাল দিয়েই গন্তব্যের গাড়ির স্ট্যান্ডে যায়। এক টার্মিনালে নেমে ফল কিনতে অন্য টার্মিনালে মূলত আসা হয় না যাত্রীদের। তাছাড়া স্থায়ী দোকানের পাশাপাশি অস্থায়ী দোকানের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রির পরিমাণ কম বলে জানা গেছে।

ব্যবসায় মন্দা ফল ব্যবসায়ীদের।  ছবি: বাংলানিউজ

মো. রেজাউল নামে এক ফল ব্যবসায়ী জানান, কাঁঠালবাড়ী ঘাটে বিক্রি বেশি ছিল। গত এক মাস ধরে নতুন ঘাটে দোকান দিয়েছি। কিন্তু বিক্রি খুবই কম। এই মৌসুমে ফল বেশি বিক্রি হয়। অথচ এখানে আশানুরূপ দেখছি না।

অপর দোকানদার মিরাজ হোসেন বলেন, আমরা কাওড়াকান্দিতে ঘাট থাকাকালীন ফলের ব্যবসা করি। সেখানে বিক্রি সবচেয়ে বেশি হতো। কাঁঠালবাড়ীতে আসার পরও মোটামুটি ভালোই বিক্রি হতো দৈনিক। কিন্তু বাংলাবাজারে ঘাট আসার পর বিক্রি কমে গেছে। এই এলাকায় নতুন দোকান বেড়েছে ৩০টি। তাছাড়া ভ্রাম্যমাণ হকারদের সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে বিক্রি কমে গেছে।

আব্দুল আলীম নামে অপর দোকানদার বলেন, এখানে দৈনিক গড়ে ৮/১০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। আগের ঘাটের তুলনায় খুবই কম।

ফলের দোকান সূত্রে জানা গেছে, ফলের মধ্যে কমলা কেজি ১শ টাকা, আপেল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, আঙুর ২৮০ টাকা, মাল্টা ১৫০ টাকা, ডালিম ২৫০ টাকা, খেঁজুর ১৫০ টাকা, চায়না কমলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাংলাবাজার লঞ্চ ঘাট সূত্র জানায়, কাঁঠালবাড়ী ঘাটের চেয়ে বাংলাবাজার ঘাটের প্রশস্ততা বেশি। প্রতিটি ঘাট নির্দিষ্ট দূরত্বে রয়েছে। যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘাট দিয়ে পারাপার হতে পারছে। টার্মিনালে যাত্রীদের চাপাচাপি করে আসা-যাওয়া করতে হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।