ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গম সংরক্ষণে চট্টগ্রামে হবে ইস্পাত সাইলো

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২২
গম সংরক্ষণে চট্টগ্রামে হবে ইস্পাত সাইলো

ঢাকা: চট্টগ্রামে গম সংরক্ষণের জন্য একটি ইস্পাত সাইলো স্থাপনের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ টাকা।

বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত তিনটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। ক্রয়ের প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২টি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ২টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ২টি, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ১টি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিল।

এছাড়া টেবিলে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ১২টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৭৩৭ কোটি ০৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জিল্লুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিস প্রজেক্ট (এমএফসিপি)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-ডব্লিউ-২৪ এর আওতায় চট্টগ্রামে গমের জন্য ১টি ইস্পাত সাইলো স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। সাইলো স্থাপনের কাজটি পেয়েছে যৌথভাবে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং ইউএসএ এর জিএসআই গ্রুপ এলএলসি। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৩৪ টাকা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিস প্রজেক্ট (এমএফসিপি)’ প্রকল্পের আওতায় ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্চ প্রোগ্রাম কাজে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ১৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৯১৩ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন না দিয়ে সময় বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। এ জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পূর্বের চুক্তি মূল্যে সময় বাড়িয়ে কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো: আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগ; ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আরবান শ্যাম্পেইন এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।