খুলনা: মহানগরীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম ভোক্তাদের নাগালে রাখতে রোববার (২০ মার্চ) খুলনায় খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। যা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
খুলনা মহানগর ও জেলায় এক লাখ ৯১ হাজার মানুষ এ কার্ডের মাধ্যমে সুলভমূল্যে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে একজন গ্রাহক দু’কেজি চিনি, দু’লিটার সয়াবিন তেল ও দু’কেজি চাল কিনতে পারবেন।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তাদের অফিসিয়াল স্টাফরা। দম ফেলার ফুসরত তাদের নেই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কার্যক্রম শেষ করতে হবে, বিতরণ করতে হবে ফ্যামেলি কার্ড। তবে কয়েকজন কাউন্সিলার অভিযোগ করে বলেছেন, এত স্বল্প সময়ের মধ্যে এত বড় কাজ করা সম্ভব নয়।
সংরক্ষিত নয় নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলার মাজেদা খাতুন বলেন, ফ্যামেলি কার্ড নগরীর হতদরিদ্র মানুষের জন্য। এটির মাধমে তারা সূলভমূল্যে টিসিবির পণ্য কিনতে পারবে। গত পাঁচ দিন আগে তিনটি ওয়ার্ডের জন্য ১৫শ’ ফ্যামিলি কার্ড তিনি হাতে পেয়েছেন। ছুটে গেছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে। খুঁজে খুঁজে বের করেছেন হতদরিদ্র মানুষকে। নামের তালিকা চূড়ান্ত হলেও কিছু ফ্যামিলি কার্ড এখনো বিতরণ করা বাকি আছে তার। তবে তা একদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী। এরকম মহান উদ্যোগের জন্য সময়ের প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন কাউন্সিলার মাজেদা।
নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শমসের আলী মিন্টু বলেন, এক কোটি হতদ্ররিদ্র মানুষের মধ্যে সুলভমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন নির্দেশনা আসে আমাদের। সব প্রস্তুত হয়ে গেছে। এখন সময়ের অপেক্ষা। নির্দেশ এলে কার্ড বিতরণ করা হবে। তিনি হতদরিদ্র মানুষের মধ্যেও কার্ড বিতরণ করবেন।
খুলনা টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান মো. রবিউল মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, টিসিবির পণ্য খুলনায় চলে এসেছে। কয়েকটি ওয়ার্ডের কার্ডও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। রোববার (২০ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে ১, ২, ৩, ও ৪ নম্বর এ চার ওয়ার্ডে ১৬টি ট্রাকের মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে চারটি করে ট্রাকসেল থাকবে। সেখানে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে একজন গ্রাহক দু’কেজি চিনি, দু’লিটার সয়াবিন তেল ও দু’কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতিদিন ওযার্ডের প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার উপকারভোগী মানুষ তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যদি কোনো কাউন্সিলার স্বজনপ্রীতির আশ্রায় নেন তাহলে সেটির দায়িত্ব কেসিসির। এ ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলেও জানান টিসিবির আঞ্চলিক প্রধান রবিউল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর শামসুর রহমান রোডের এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত ভুল। কারণ অনেক ক্ষেত্রে তারা স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেবেন। তাদের ভিড়ে হতদরিদ্র মানুষ হারিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২২
এমআরএম/আরআইএস