ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছোলা ও খেজুরের সংকট নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২২
ছোলা ও খেজুরের সংকট নেই

ঢাকা: আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি ছুটছিল লাগামহীন ঘোড়ার মতো। তবে সরকারের নানা উদ্যোগ সেই গতিকে থামিয়ে দিয়েছে।

নিত্যপণ্যের আমদানিতে কর ও শুল্ক প্রত্যাহার এবং কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর ফলে ধীরে ধীরে কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম।

রমজানের আগে রোজাদারদের চাহিদায় থাকা ছোলা ও খেজুরের দামও বেড়ে যাচ্ছিল গত কয়েকদিনে। আমদানি নির্ভর এ দুটি পণ্যের সরবরাহ ও চাহিদা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে পণ্যটির সংকট নেই।

রমজান কেন্দ্রিক পণ্যসমূহের চাহিদা, আমদানি, স্থানীয় বাজারদর, স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে বিভিন্ন সংস্থার করা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ছোলা
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশে বছরে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ছোলার চাহিদা রয়েছে। এরমধ্যে স্থানীয় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। আর পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। বছরে প্রায় এক লাখ মেট্রিক টন ছোলা আমদানি করতে হয়। ছোলা আমদানিতে কোনো শুল্ক নেই।

বাজারে বিভিন্ন মানের ছোলা মানভেদে ৭০-৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের সময় গতবছরও ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার ছোলা আমদানি হয়েছে দুই লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৪১ মেট্রিক টন। আর এই সময়ে স্থানীয় উৎপাদন ৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।

খেজুর
দেশে বাৎসরিক প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। আর বছরে আমদানি করতে হয় ৫০ হাজার মেট্রিক টন। পবিত্র রমজানে চাহিদা ২৫ হাজার মেট্রিক টন। খেজুর আমদানিতেও কোনো শুল্ক নেই।

বাজারে সাধারণ মানের খেজুর প্রতি কেজি ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে ভালো মানের খেজুরের দাম একটু বেশি। বাজারভেদে খেজুরের দামের তারতম্য রয়েছে।

গত বছরের জুলাই থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকার খেজুর আমদানি হয়েছে ৪৮ হাজার ১৭৬ দশমিক ২৮ মেট্রিক টন।

রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের খালাসে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে বন্দর ও শুল্ক স্টেশনগুলোকে নির্দেশনার পাশাপাশি ফেরি পারাপার ও জেলা পুলিশকে অগ্রাধিকার দেওয়া, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতকরণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২২
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।