বরগুনা: পহেলা জানুয়ারি দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে বই উৎসব। তবে এদিন বরগুনার আমতলী উপজেলায় মাধ্যমিক ও মাদরাসা পর্যায়ে ২ লাখ ৭০ হাজার ৭৫০টি বই পায়নি শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে মাধ্যমিক ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণি এবং ইবতেদায়ী শাখার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১১ হাজার ৯শ শিক্ষার্থীর জন্য আসেনি কোনো বই। ফলে বই না পেয়ে তারা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২৬টি মাধ্যমিক, ১৪টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৯টি দাখিল ও ৬১টি ইবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৩ হাজার ৭শ জন, নিম্ন মাধ্যমিকে ৮হাজার ১শ জন ও ইবতেদায়ী শাখায় ১০ হাজার ৭শ জনসহ মোট ৩২ হাজার ৫শ জন। তাদের জন্য মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯২৫টি। এর বিপরীতে বই উৎসবের দিন রোববার (১ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট বই পাওয়া গেছে ১লাখ ৮১ হাজার ১৭৫টি। ফলে এখনো মোট ঘাটতি রয়েছে ২লাখ ৭০ হাজার ৭৫০টি বই।
বই উৎসবের দিন সব শিক্ষার্থীরা বই নিতে আসলেও মাধ্যমিক ও মাদরাসার সপ্তম শ্রেণি এবং ইবতেদায়ী শাখার তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ১৭ হাজার ৪শ শিক্ষার্থীর ১লাখ ২৬ হাজার ৬শ বই এখনো পৌঁছায়নি। অন্যান্য শ্রেণির মধ্যে ঘাটতি রয়েছে মাধ্যমিকের ষষ্ঠ শ্রেণির ৭ হাজার ৮শটি, নবম শ্রেণির ১৭ হাজার ৭৫০টি, দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণির ১৬ হাজার ১শ, অষ্টম শ্রেণির ২৬ হাজার, ইবতেদায়ী প্রথম শ্রেণির ৭হাজার ২শ এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ৬ হাজার ৩শ টি বই।
বই না পেয়ে হতাশ আমতলী সরকারি একে স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রণয় রায়। সে জানায়, আমরা বই উৎসবের দিন কোনো বই না পাওয়ায় খারাপ লাগছে।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াউল হক মিলন বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে যে পরিমাণ বইয়ের ঘাটতি রয়েছে তা পাওয়া যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আশরাফুল আলম বলেন, এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মতার মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে যে পরিমাণ বইয়ের ঘাটতি রয়েছে তা যাতে দ্রত আমতলী পৌঁছে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৩
এমএমজেড