জাবি: ভাষা শহীদদের স্মরণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্র ও কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার’স কলেজের প্রাক্তন সংসদের যৌথ অংশগ্রহণে প্রতীকী মশালযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ প্রতীকী মশালযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ফাদার মিল্টন ডি কস্টা বলেন, দেশ ভাগের শুরু থেকেই উর্দু ভাষীরা বাংলাকে শাসন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। ভাষা আন্দোলন একদিনে সীমাবদ্ধ ছিল না। এটা শুরু হয়েছিল ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর থেকে। তারা বাংলা ভাষাকে সকল জায়গা থেকে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। তারা ডাকটিকেট, টাকা থেকে বাংলা লেখা বাদ দিয়েছিল। এক পর্যায়ে উর্দুকে তৎকালীন পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার জন্য ঘোষণা দেয়। কিন্তু বাংলার ছাত্রসমাজ এটা মেনে নেয়নি। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করে। শহীদ হন অনেকে। তাদের জন্য বাংলা ভাষা আজ এতটা গুরুত্ব পেয়েছে। ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, পার্শবর্তী দেশ ভারতেও আমাদের বাংলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। প্রতি বছরই ২১শে ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের সামনে থেকে র্যালি বের হয়। এ র্যালিতে হাজার হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। আজকে এ ভাষার মাসে আমরা সবাই এ প্রত্যায় ব্যক্ত করি আমরা বাংলাকে যেন ভালোবাসি।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ দান কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক সৈয়াদা ফাহলিজা বলেন, আজকে সেন্ট জেভিয়ার'স কলেজের এ আয়োজনে এ মশাল যাত্রা র্যালি ও সব আয়োজন তরুন প্রজন্মকে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ বোঝতে উদ্বুদ্ধ করবে। ভাষার জন্য বিশ্বে অন্য কোনো জাতি এতো ত্যাগ স্বীকার করেনি। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। যার জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি। এ ভাষার মাসে পৃথিবীর সব মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
এ সময় ফাদার প্রভাষ রোজারিও, সেন্ট জেভিয়ার'স পরিচালনা পর্ষদের সদস্য দিপন দাসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সেন্ট জেভিয়ার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারিত ১৮, ২০২৩
এসএম