ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে ছাত্রলীগ নেত্রী ও তার সহযোগীর দ্বারা নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক।
কমিটিতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলমকে রাখা হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ. ন ম আবুজর গিফারী তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক শাহবুব আলম বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো বলে আশা রাখি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশ দেন হাইকোর্ট। আদেশে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসককে তিন কার্যদিবসের মধ্যে এ কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেন। কমিটি করার পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে রাত সাড়ে ১১টা থেকে রাত প্রায় তিনটা পর্যন্ত শারীরিক নির্যাতন করা হয় নবীন ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে তার বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে রাখে।
১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাসায় চলে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী। র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত দেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
আরএ