জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ঠিকানা পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক কর্মকর্তা।
বুধবার (২৯ মার্চ) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটান তিনি।
অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম এস এম সাদাত হোসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযুক্ত সাদাত সাভারের সিটি সেন্টার থেকে বাসে উঠেন। স্টু্ডেন্ট না হয়েও স্টু্ডেন্ট ভাড়া দাবি করে ৫ টাকা ভাড়া দেন। তখন বাসের হেলপার সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা দাবি করেন। এ সময় হেলপারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাস থেকে নেমে যান তিনি। পরে অন্য বাসে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে অবস্থান নেন। এরপর ঠিকানা পরিবহনের বাসটিতে ইট ছুঁড়ে সামনের গ্লাস ভেঙে দেন।
এ ঘটনায় বাসের ড্রাইভার ভয়ে পালিয়ে যান। তখন বাসের হেলপারকে নামিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে বাসের হেলপার ক্ষমা চাইলে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া বাস ভাঙচুরের জন্য অভিযুক্ত সাদাত হোসেন ক্ষমা চাননি বলেও জানা গেছে।
তবে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে অভিযুক্ত এস এম সাদাত হোসেন বলেন, আমি কিলোমিটার প্রতি সরকার নির্ধারিত ২.৪৫ টাকা হারে বাস ভাড়া দিতে চেয়েছি। সে হিসেবে ৫ টাকার বেশি ভাড়া হয় না। তারপরও বাসের হেলপার জোর করে বেশি ভাড়া নেয় এবং আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। তাই ক্যাম্পাসের গেটে আসলে বাসটি থামাই। তখন তারা চলে যেতে চাইলে ইট ছুঁড়ি। যদিও ইট ছোঁড়ার জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমকে অবহিত করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবে, সেটা আমি সমর্থন করি না। তার সঙ্গে অন্যায় হলে সে প্রশাসনকে অবগত করতে পারতেন। তখন আমরা বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলতাম। কিন্তু তিনি যা করেছেন সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবো।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপনে পাঁচ শর্তে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। তবে প্রজ্ঞাপনের কোথাও কর্মকর্তা বা অন্য কারও জন্য হাফ ভাড়ার কথা উল্লেখ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২৩
জেডএ