ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে মাহাদী হাসান নামে এক আবাসিক ছাত্রকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক জোরপূর্বক সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় অবশেষে সিট ফিরে পাচ্ছেন ওই ভুক্তভোগী।
রোববার (২ এপ্রিল) হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামীকাল (সোমবার) আমরা তাকে ডেকেছি। ওই শিক্ষার্থী আসতে চেয়েছেন। হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে তাকে তার সিটে (৪২৮ নং কক্ষে) তুলে দেওয়া হবে। ওই রুমে যারা থাকে তাদের সঙ্গে এবং যাদের নামে অভিযোগ করা হয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। হলের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমরা ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। তাছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হলে উঠার বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মাহদী হাসান বলেন, প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে আমাকে সিটে তুলে দেবেন বলেছেন। যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগ আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাহলে আমি ক্যাম্পাসে যাব। আমি আমার নিরাপত্তা শঙ্কার কথা স্যারকেও জানিয়েছি।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক জোরপূর্বক সিট থেকে নামিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগীর দেওয়া লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
তদন্ত কমিটিতে হলের আবাসিক শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- আবাসিক শিক্ষক ড. পার্থ সারথি লস্কর ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ইবির লালন শাহ হলে সিট থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে হুমকি-ধমকি ওই ছাত্রের বৈধ কক্ষে গিয়ে বই, খাতা ও আসবাবপত্র করিডোরে ফেলে দিয়ে যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে বলেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচার চেয়ে শনিবার (২ এপ্রিল) সকালে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী হলেন- বাংলা বিভাগের তরিকুল ইসলাম তরুন, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের আতাউর রহমান রাজু। তারা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী বলে পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
এমএইচএস