ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দু’ধরনের পরীক্ষায় বাওয়া’র সাফল্য

মাহবুব আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫১ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১২

চট্টগ্রাম : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় ২০১২ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ-৫ এর দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া)।

তাদের এ সাফল্যের বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারা বেগম বাংলানিউজকে জানান, দু’ধরনের পরীক্ষা ও বিশেষ মূল্যায়ন ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধান করা হয়ে থাকে এখানে।



এর মধ্যে নিয়মিত শ্রেণী পরীক্ষা, নির্বাচনী পরীক্ষা পরবর্তী মডেল টেস্ট, বিশেষ মূল্যায়ন ক্লাসের কারণে প্রতিষ্ঠানটির এমন সাফল্যের কথা জানিয়েছেন তিনি।
 
সোমবার বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. পিযুষ দত্ত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফল ঘোষণা করেন।

বোর্ডের তথ্যানুসারে ৩৯৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৯ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত মানদ-ের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ বিদ্যালয় (বাওয়া)। এই মানদণ্ডে প্রাপ্ত স্কোর হচ্ছে ৮৬ দশমিক ৩১। পাশের হার শতভাগ।

বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন মানসুরা তাবাসসুম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অনেক পরিশ্রম করে পড়াশুনা করে আজ এর ফল পেয়েছি। খুশির বাণে সহপাঠীদের সঙ্গে ভেসে যাচ্ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী তাসলিমা সুলতানা পপি ও নওরিন আলম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিক সহযোগিতা, রুটিনমাফিক পড়ালেখাতে এই সাফল্য এসেছে। তবে মা-বাবার ধৈর্য্য ও সহযোগিতা তো আছেই- যোগ করেন পপি।

বাওয়া স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, গত বছরও বোর্ডে আমাদের অবস্থান একই ছিলেনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চেষ্টা ও সহযোগিতায় আগামীতে আরও ভাল ফল করা সম্ভব হবে।

এ স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা মোশাররফ তাবাসসুমের অভিভাবক পারভিনা বেগম জানালেন, অনেক পরিশ্রম করে মেয়েরা পড়াশোনা করছে। আজকে সবাই মিলে মজা করবেই।

অধ্যক্ষ আনোয়ারা বেগম জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বোর্ডের পাঁচটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে সেরা ২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাওয়া স্কুল ৫ম স্থানে। তবে জিপিএ-৫ এর ভিত্তিতে সেরা ৩-এ অবস্থান এই বিদ্যালয়ের।

পরীক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতি গ্রহণ করে সাফল্য অর্জন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে শিক্ষার্থী মুখস্থ বিদ্যা পরিহার করে সব কিছু বুঝে আয়ত্মে আনার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময় : ১৬৪১ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
এমবিএম,/ সম্পাদনা : সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর
[email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।