ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

শিক্ষা

এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ শিক্ষার্থী

কক্সবাজার: সকল অনিশ্চয়তা কাটিয়ে রোববার (৩০ এপ্রিল) শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে  রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষা বোর্ড, বিশেষ বিবেচনায় এসব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে বলে জানান, বিদ্যালয়ের  প্রধান শিক্ষক ( ভারপ্রাপ্ত) নুর মোহাম্মদ।

 

জানা গেছে, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও নানা জটিলতার কারণে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রায় ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়ে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রামু চৌমুহনী স্টেশনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।  

 বিষয়টি ভুলবুঝাবুঝি দাবি করে  রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নুর মোহাম্মদ বলেন, এবারের নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৪৭ জন ছাত্র-ছাত্রী। এরমধ্যে  পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় ১১৭ জন। এরা সসবাই  এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সুযোগ পায়।  

তিনি জানান, পরবর্তীতে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুরোধে শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশেষ বিবেচনায়  ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীকে ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ১৬ শিক্ষার্থীর  ফরম ফিলাপের কাগজপত্র শিক্ষা বোর্ডে পাঠানোর প্রায় একমাস পর শিক্ষা বোর্ড থেকে জানানো হয়, ওইসব (১৬ জন) শিক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ হবে না।  

এ বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে পরিবেশ ঘোলাটে করা চেষ্ঠা করে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ আরও বলেন, গত শুক্রবার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের পর রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ, রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদ বিভিন্ন  বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে উপজেলা পরিষদে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক থেকে ইউএনও ফাহমিদা মুস্তফা চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফরম ফিলাপ করা ওই ১৬ জন ছাত্র-ছাত্রীকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের অনুমিত দেন।

 এছাড়াও ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি'র বেশি টাকা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন এ শিক্ষক।
 
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ, সমস্যাটি কয়েকমাস আগের।  বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেনা। তাদের গাফেলতির কারণে মূলত এটি জটিল আকার ধারণ করে।  

সঠিক সময়ে সঠিক উদ্যোগ নেওয়া হলে জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এমনকি পরীক্ষার একদিন আগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ না করলে, হয়ত এ সমস্যার সমধান হতো না বলে দাবি অভিভাবকদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, রামু খিজারী সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের  শিক্ষকদের মধ্যে কোন্দল, দলাদলী এখন প্রকট। বিভিন্ন কমিটি-উপ-কমিটি থেকে আসা অর্থ ভাগভাটোয়ায় নানা অনিয়ম রয়েছে।

শিক্ষকেরা আরও জানান, শিক্ষকদের একটি পক্ষ চান বর্তমান প্রধান শিক্ষক নুর আহমদকে বেকায়দায় ফেলে  পদ থেকে অপসারণ করতে। এই পক্ষটি নানা ষড়যন্ত্রও করে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনির ভর্তির প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে সেই টাকাও শিক্ষকদের পকেটে পকেটে রেখে দেওয়ার নজিরও এ বিদ্যালয়ে আছে বলে জানান এক শিক্ষক।

কয়েকজন সাধারণ শিক্ষক বলেন, যেভাবে বিদ্যালয়ে গ্রুপিং চলছে, এসব কঠোরভাবে দমন করা না হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফাহমিদা মুস্তফা জানান, প্রাথমিকভাবে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ১৬ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের এডমিট কার্ড আমাদের হাতে চলে এসেছে।  

বিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে কমিটি গঠন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৩
এসবি/ এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।