জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): রাতের আঁধারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রায় ৫০ বছরের পুরনো কাঠ লিচু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) সামনে থাকা বিশালাকৃতির এ গাছটি কাটা হলেও জানেন না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার (২৪ মে) রাত নয়টার পর গাছটি কেটে ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সরজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, বৃক্ষরোপণ ও কর্তন কমিটির সদস্যরা গাছ কাটার স্থানটি পরিদর্শন করে উপাচার্য ও ট্রেজারারকে অবগত করেন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
গাছ কাটার কাজ পাওয়া লিটন বলেন, বড় হুজুর (সালাউদ্দীন) আমাকে গাছ কাটতে বলেছেন। উনি আমাকে দু’হাজার টাকা এবং গাছের ডালপালা ও লাকড়ি নিয়ে যেতে বলেছেন। আমি লোকজন নিয়ে বুধবার সারারাত ধরে গাছ কেটেছি। বৃহস্পতিবার রাতে লাকড়িগুলো নেওয়ার সময় স্যারেরা আমাকে এসব নিয়ে যেতে নিষেধ করেন।
এ বিষয়ে মসজিদের ঈমাম সালাউদ্দীন বলেন, মসজিদের টিনের ওপর গাছের ডালগুলো ছিল। ঝড় হলে অনেক শব্দ হতো। তাই ট্রেজারার স্যারকে বলেছিলাম ডাল কাটতে। তিনি নারিকেল গাছসহ গাছটির ডালপালা কাটতে বলেছিলেন। কিন্তু ডাল কাটতে গিয়ে দেখি ঝড়ে গাছটির গোড়া দুর্বল হয়ে গেছে। তাই মসজিদের দুর্ঘটনার কথা ভেবে গাছটি কাটার জন্য বলেছি। কাউকে না জানিয়ে গাছ কাটা আমার অন্যায় হয়েছে। আমি এ ঘটনায় ক্ষমাপ্রার্থী।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, আমি আজ সারাদিন সচিবালয়ে ছিলাম। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, আমাকে কেউ কিছু জানায়নি৷
মসজিদের কমিটির সভাপতি ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, আমি নারিকেল গাছের ডালপালা ছাটাইয়ের বিষয়ে অবগত ছিলাম। গাছ কাটার ব্যাপারে আমাকে জানানো হয়নি। আমি সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঈমামকে চার্জ করেছি এবং বিষয়টি উপাচার্যকে অবগত করেছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমি সম্পত্তি কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ কাটার অধিকার কারোর নেই। এখানে কমিটি আছে তাদের মতামত নিয়ে গাছ কাটতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
জেডএ