রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে তিন জন আটক হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে ‘এ’ ইউনিটের প্রথম শিফটের পরীক্ষা চলাকালে সন্দেহজনকভাবে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটক দুই প্রক্সিদাতা হলেন মো. হোসাইন ও মো. স্বপন হোসাইন। মো. হোসাইন কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর গ্রামের কাওসার হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জোগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের ৪২৪ নম্বর কক্ষে জাহিদ হাসান সিয়ামের হয়ে প্রক্সি দেন। আর স্বপন হোসাইন নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার চকগোপীনাথ গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি কৃষি অনুষদ ভবনের ১৩৫ নম্বর রুমে তানভীর আহমেদের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন।
এছাড়া আটক অপর ব্যক্তির নাম আব্দুর রাকিব। দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩৩৭ নম্বর কক্ষ থেকে আটক করা হয় তাকে। তিনি মূল পরীক্ষার্থী। তবে তার হয়ে প্রক্সি দেওয়ার জন্য অন্য ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেন। সে অনুযায়ী প্রবেশপত্রের ছবিও পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু তার বাবার কাছে প্রক্সির জন্য টাকা চাইতে গেলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। এরপর রাকিব নিজেই পরীক্ষা দিতে আসেন। এজন্য আবারও ছবি পরিবর্তন করেন। কিন্তু এটা করতে গিয়েই ধরা পড়েন। মূলত ছবি পরিবর্তনের অভিযোগেই তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তারা প্রথমে সন্দেহজনকভাবে দুজনকে আটক করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের দোষ স্বীকার করেন তারা। পরে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষা দিতে এসেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাবি প্রশাসন তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও জানান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই মুখপাত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এসএস/এসআইএস