শাবিপ্রবি (সিলেট): ভেঙে ফেলা হচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্মৃতিবিজড়িত এতিহ্যবাহী প্রধান ফটক।
জানা যায়, নতুন আরেকটি গেট তৈরি করায় এবং পুরাতন গেটটি সড়ক ও জনপথের জায়গাতে হওয়ার ফলে গেটটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মৃতিবিজড়িত পুরাতন ফটকটি নিয়ে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে ফটকটি।
তাই প্রায় ৩০ বছর পর গেট ভাঙায় অনেকের হৃদয়েও ভাঙন দেখা দিয়েছে, আর তা প্রকাশ করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। অনেকে গেটের ছবি পোস্ট করে লিখছে আজীবন স্মৃতির পাতায় গেঁথে থাকবে তুমি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত রায় জানান, সাস্টে পড়ার স্বপ্নের কথা মনে পড়লেই চোখে ভাসতো সাস্টের প্রধান ফটক। এটি হয়তো অন্য ক্যাম্পাসের মতো এত সুন্দর না কিন্তু কেন জানি এই অনন্য সাধারণ গেইটের মাঝে একটা আবেগ কাজ করতো। কিন্তু ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যেতেই চোখ পড়ল যে আমাদের পুরাতন গেইট ভেঙে ফেলা হচ্ছে। দেখেই মনের ভেতর কেমন একটা শূন্যতা কাজ করছে।
তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ জানান, বাইরে থেকে ক্যাম্পাসে আসা মাত্রই গেইটটাকে দেখলেই মনে হয় নিজের গন্তব্য এসে গেছি। সাইক্লিং ট্যুর, অন্যান্য ট্যুরের প্রাথমিক ছবি হিসেবে এ গেইটে তোলা ছবি ব্যবহার করতাম। আর আড্ডা দেওয়ার সময় গেইটের দিকে তাকানোর আবেগটা আর ফিরে পাবো না ভেবেই মনটা নাড়া দিয়ে উঠে।
ফটক ভাঙার দায়িত্বে থাকা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, পুরাতন ফটক ভাঙার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আমাকেও রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ ফটক ভাঙা হচ্ছে।
রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফটক ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথের জায়গায় এ ফটক অবস্থিত। তাদের জায়গা থেকে সরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গায় নতুন ফটক নির্মাণের কাজ চলতেছে। কাজ শেষ হলে সেটি উদ্বোধন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
এএটি