ঢাকা, বুধবার, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৫ রবিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিয়া উদ্ভাবন, পেল পুরস্কার

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৩
নারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিয়া উদ্ভাবন, পেল পুরস্কার

শাবিপ্রবি, (সিলেট): ‘নারীদের স্বাস্থ্য’ নিয়ে আইডিয়া উদ্ভাবন করে পুরস্কৃত হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের টিম ‘প্রীতিলতা’। উদ্ভাবিত আইডিয়াটি মেয়েদের মাসিকের (মেনস্ট্রুয়াল পর্ব) ভয় ও হীনমন্যতাকে কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।



এই আইডিয়া উদ্ভাবন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি ডিভিশন) থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছে দলটি।
মেয়েদের মাসিকের সময় হাতের নাগালে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও অন্যান্য উপাদানগুলো না পেলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এই দিকটি কিভাবে সহজলভ্য করা যায় তা নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নেয় প্রীতিলতার সদস্যরা।

প্রীতিলতা দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন, আবু নাসের শাহ মো. মারুফ আহমেদ, মাহবুব আহমেদ চৌধুরী, সুরাইয়া তাসনুর তানহা ও আয়শা আহমেদ ইফফাত। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রীতিলতার সদস্যরা জানান, প্রীতিলতার যাত্রা শুরু হয় গত বছরে। ওই বছর মার্চে ক্যাম্পাসে হাল্ট প্রাইজ আইডিয়া প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। এরপর চলতি বছর ৫ জানুয়ারি তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ডিভিশনের ‘আইডিয়া’ প্রজেক্টে আবেদন করেন তারা। সেখানে তিন ধাপে আইসিটি বিভাগ প্রীতিলতার উপস্থাপন দেখে।  

সর্বশেষ ১৭ মে তাদের আইডিয়া আইসিটি ডিভিশন মঞ্জুর করে এবং ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়।  

এর আগে প্রীতিলতা গত বছরের ‘রবি-বিডিঅ্যাপস ন্যাশনাল হ্যাকাথন-২০২২’ এ অংশগ্রহণ করে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করে।

প্রীতিলতার নামকরণ সম্পর্কে দলের সদস্য সুরাইয়া তাসনুর তানহা বলেন, ‘যেহেতু আমরা মেয়েদের পিরিয়ড পোভার্টি নিয়ে কাজ করছি, তাই এমন নাম রাখতে চেয়েছিলাম যার মাধ্যমে ফেমিনিন ভাইব বা নারীদের কাজটিই ফুটে উঠে। তাই এমন নাম রাখা হয়েছে।

দলের আরেক সদস্য শাহ মো. মারুফ বলেন, ২০২২ সালে সিলেট-সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যার সময় আমরা ফান্ডিং জোগাড় করে নারীদের মাঝে ৬০ হাজার টাকার ৬ হাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছি। এখন নারী স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করার জন্য যেহেতু আইসিটি বিভাগ থেকে ফান্ডিং পেয়েছি, আমাদের পরিকল্পনা হলো প্রাথমিক ধাপে শাবিসহ সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়াশরুমে ক্যাশলেস ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা।  

তিনি নলেন, আমরা একটি অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশলেস ট্রানজেকশনে স্যানিটারি ন্যাপকিনসহ অন্যান্য মেনস্ট্রুয়াল প্রোডাক্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।