ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

শিক্ষা

মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন অনুষ্ঠিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২১ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৩
মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন অনুষ্ঠিত

ঢাকা: মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন-২০২৩ আয়োজন করেছে বাংলাদেশে মোনাশ কলেজ অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র অংশীদার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশের (ইউসিবি)।

শনিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে রাজধানীতে র‍্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে মোনাশ কলেজের মোনাশ ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন ইয়ার, মোনাশ কলেজ ডিপ্লোমা অব বিজনেস, ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে স্নাতক হন ৭৬ জন শিক্ষার্থী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার কেট স্যাংস্টার।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এসটিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান বব কুন্দানমাল, ইউসিবির পরিচালক ও বোর্ড মেম্বার জারিফ মুনির এবং ইউসিবির ডিন অব অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স প্রফেসর মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন।  

এছাড়া অনুষ্ঠানে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী, উচ্চপদস্থ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অ্যাকাডেমিক ডিনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরে একটি ভিডিও প্রদর্শিত হয়, যেখানে স্নাতক সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীদের যাত্রা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডেন্ট ও প্রভোস্ট ডেজিগনেট প্রফেসর হিউ গিল এবং বোর্ডের প্রশংসাসূচক বক্তব্য প্রদান করেন জারিফ মুনির।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউসিবি। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৪ অনুযায়ী, বৈশ্বিকভাবে মোনাশ ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৪২। দেশে মোনাশ কলেজ থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সরাসরি মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এর মাধ্যমে দেশে উচ্চশিক্ষা সহজলভ্য করতে কাজ করে চলেছে ইউসিবি।

এসটিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান বব কুন্দানমাল বলেন, এখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বিশ্বজয় করতে প্রস্তুত। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোনাশ ইউনিভার্সিটির উচ্চ মানসম্পন্ন শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে পারার অভিজ্ঞতা অত্যন্ত আনন্দের। আমরা ইউসিবির মাধ্যমে বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ করে দিতে প্রত্যাশী।

বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি হাইকমিশনার কেট স্যাংস্টার বলেন, আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। মানুষের সঙ্গে মানুষের সংযুক্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, আর মোনাশ ইউনিভার্সিটি ও মোনাশ কলেজ এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। আমরা খুবই উচ্ছ্বসিত যে, এই ধরনের সমাবর্তনগুলো এখন বাংলাদেশেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে শিক্ষা ও দক্ষতার উন্নয়নও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ইউসিবির মতো বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শাখা ক্যাম্পাস খোলার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করছি।

ইউসিবির পরিচালক ও বোর্ড মেম্বার জারিফ মুনির বলেন, দেশের অন্যতম আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্নাতক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন। তাদের সাফল্যের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।