খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের। উচ্চশিক্ষার অনুকূল পরিবেশ, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা,আন্তর্জাতিক মানের পাঠ্যক্রম, শিক্ষাখাতে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ব্যবস্থাপনা যোগ হওয়াসহ নানা কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ঝুঁকছেন তারা।
সম্প্রতি ‘কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২৪: টপ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’ শীর্ষক এ র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পেয়েছে খুবি। যা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খুবিতে বর্তমানে বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৪। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ভারত, কানাডা ও ইতালির শিক্ষার্থী রয়েছে। এদের মধ্যে ফার্মেসি ডিসিপ্লিনে ৭ জন, সিএসই ডিসিপ্লিনে ৬ জন, স্থাপত্য ডিসিপ্লিনে ৫ জন, ইসিই ডিসিপ্লিনে ৪ জন, এগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনে ৪ জন, বিজিই ডিসিপ্লিনে ২ জন, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি, পদার্থবিজ্ঞান, গণিত ও ইংরেজি ডিসিপ্লিনে ১ জন করে শিক্ষার্থী এবং মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে ২ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।
অধ্যয়নরত ৩৪ জন বিদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১ জন ছাত্র ও ১৩ জন ছাত্রী। যাদের মধ্যে ২১ জন ছাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও ১১ জন ছাত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে থাকেন। এছাড়া মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টারে অধ্যয়নরত দুইজন ছাত্রী খুলনা শহরে ভাড়া থাকেন।
এ বিষয়ে খুবির ফার্মেসি ডিসিপ্লিনে অধ্যয়নরত নেপালি শিক্ষার্থী সন্তোষ কুমার গুপ্ত বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতোপূর্বে অনেক নেপালি শিক্ষার্থী গ্রাজুয়েট হয়েছেন। তাদের কাছে সুনাম শুনেই এখানে ভর্তি হয়েছি। শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ, আন্তর্জাতিকমানের কারিকুলাম ও শিক্ষকদের আন্তরিকতাই এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের টেনে আনে।
খুবিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি তথ্য তুলে ধরা, আলাদা ডেস্ক বা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তাদের সহায়তা করাসহ নানা কাজ করে দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স।
এ দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোরসালিন বিল্লাহ বলেন, এখানে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য এ ব্যাপারে অনেক আন্তরিক। তিনি নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার কথা জানতে চান। কোনো সমস্যা হলে দ্রুতই সমাধান করে দেন।
এ বিষয়ে খুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি ও সেশনজট নেই। রয়েছে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও সময়োপযোগী কারিকুলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সঠিক ব্যবস্থাপনার কারণে সৌন্দর্য বেড়েছে। এসব কারণেই বিদেশি শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তিতে আগ্রহী হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দুটি হলের আলাদা দুইটি উইংয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীরা থাকছেন। তবে আগামীতে তাদের জন্য আলাদা ডরমেটরি করার উদ্যোগ প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে যেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্থান পেয়েছে খুবি। এটা আমাদের একটা সাফল্য। এ সাফল্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২৩
এমআরএম/এএটি