জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে একই সঙ্গে আছে মাস্টার্সের তিনটি ব্যাচ। বিভাগটির ৪৫ ব্যাচের মাস্টার্সের ফলাফল না দিয়েই ৪৬ ব্যাচের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিভাগটির ৪৫ ব্যাচের মাস্টার্সের পরীক্ষা শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। ওই বছর ২৭ অক্টোবর প্রথম ডিফেন্স হয় শেষ হয়। দ্বিতীয় ডিফেন্স শেষ হয় ২৭ নভেম্বর। থিসিস পেপার চূড়ান্তভাবে জমা হয় ১৮ ডিসেম্বর। ৪৬ ব্যাচের মাস্টার্স শেষ হয়েছে চলতি বছরের ১১ মে এবং ৪৭ ব্যাচের মাস্টার্সের ক্লাস শুরু হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত আগের ব্যাচের পরীক্ষার ফলাফলের আগে পরবর্তী ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া হয় না। এতে কোনো শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হলে তিনি পরবর্তী ব্যাচের সাথে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পান না।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিভাগটির এক শিক্ষার্থী বলেন, রেজাল্ট দিতে দেরি করা বিভাগের একটি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সময়মতো রেজাল্ট না পাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আবেদন করতে পারে না।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, বর্তমান ব্যাচগুলোর বিভিন্ন সেমিস্টারের রেজাল্ট দিতেও অনেক দেরি হয়। অনেক সময় আগের সেমিস্টারের রেজাল্ট না হওয়ার কারণে পরের সেমিস্টারের পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে যায়। এমনকি অনেক সময় টিচাররা টিউটোরিয়ালের রেজাল্টও দেন ফাইনাল পরীক্ষার মাঝে।
এ বিষয়ে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আনিসা নূরী কাঁকন বাংলানিউজকে বলেন, ৪৫ ব্যাচের রেজাল্ট বলতে গেলে হয়েই গেছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে রেজাল্টের ফাইনাল কপি এসেছিল কিন্তু সেটায় ভুল থাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি আমাকে জানিয়েছেন। আমাদের মাস্টার্সের থিসিসগুলো বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সটার্নালের কাছে যায়, এ কারণে মার্কসটা আসতে একটু সময় লাগে। আমাদের ৪৬ ব্যাচ অনেক আগানো। অনেক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের এখনো মাস্টার্সের পরীক্ষাই শুরু হয়নি। করনার সময়ে ৪৭ ব্যাচ অনেক পিছিয়ে পড়ে। সেজন্য তাদের যাতে সময় বিলম্ব না হয় এজন্য আমরা দ্রুত তাদের মাস্টার্সের ক্লাস শুরু করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
এমজে