ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন বাংলাদেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন বাংলাদেশি

ঢাকা: বাংলাদেশে স্টাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডসের ২০২৩-২৪ তিন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যবসায়িক, উদ্যোক্তা ও সামাজিকখাতে উল্লেখযোগ্য অর্জনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ও বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদারে অবদান রাখায় তাদের এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।



বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারিখাত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

‘সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড, ’ ‘সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড ও বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’ এ তিনটি বিভাগে বিজয়ী নির্বাচন করেন এ অ্যাওয়ার্ডের বিচারক প্যানেল।  

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও সেখানে শিক্ষাপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাপী প্রাক্তন সব শিক্ষার্থীদের অর্জন উদযাপন করে আয়োজিত হয় সম্মানজনক এ আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড।  

১০ম বছরে পা দেওয়া এবারের সংস্করণে প্রায় ১শ’টি দেশের ইউকে অ্যালামনাই এবং যুক্তরাজ্যের ১৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৪৫০ জনের বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।  

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা এবং এই স্বপ্নপূরণে আমাদের প্রয়োজন ‘স্মার্ট সিটিজেন’।  

স্মার্ট সিটিজেন গড়তে সবার জন্য সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো উদ্ভাবন বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। সবার জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করার এই প্রয়াসে আমাদের নিরলস সহায়তা করার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ও যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।  

ব্রিটিশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত এবং সংক্ষিপ্ত তালিকায় যারা স্থান করে নিয়েছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন।  

স্টাডিইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডসের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অর্জন উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চমৎকার অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এ অংশীদারিত্ব আমাদের ডায়াস্পরা, সাংস্কৃতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতেই তৈরি। বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন ২০ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছেন এবং তারাই এ দৃঢ় সম্পর্ক এবং যুক্তরাজ্যের ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সংযোগের প্রমাণ।

এবার বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড বিভাগ থেকে ফাইনালিস্ট হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের প্রফেসর খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটির মোহসিনা খানম এবং কিংস্টন ইউনিভার্সিটি ও কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির তানভীর আহমেদ।
সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড বিভাগ থেকে ফাইনালিস্ট হয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের ড. মুশতাক ইবনে আয়ূব, ক্যান্সার গবেষক ও সহকারী অধ্যাপক, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কিংস কলেজ লন্ডনের ডা. কামরুন কলি এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের আলিফা বিনতে হক।  

সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড বিভাগ থেকে ছিলেন সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের মোহাম্মদ তাকি ইয়াসির, ইউনিভার্সিটি অব ইয়র্কের সায়াদা সামারা মোরতাদা এবং ইউনিভার্সিটি অব সাসেক্সের তানজিলা মজুমদার দৃষ্টি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।