ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে ৩৬ মণ্ডপে উদযাপন হবে সরস্বতী পূজা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
জবিতে ৩৬ মণ্ডপে উদযাপন হবে সরস্বতী পূজা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): প্রতিবারের ন্যায় এবছরও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বৃহৎ পরিসরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।  

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল মিলে ৩৬টি মণ্ডপে এ পূজা হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল।

তিনি বলেন, প্রতি বছর আমরা সরস্বতী পূজা বৃহৎ পরিসরে উদযাপন করি। এ বছর বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও হল মিলে ৩৬টি মণ্ডপে পূজা করা হচ্ছে। সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জোরদার থাকবে। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

এদিকে শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মীয় উৎসব হিসেবে সবচেয়ে জাঁকালোপূর্ণভাবে প্রতিবছর সরস্বতী পূজার উদযাপন হয়ে থাকে। সব ধর্মের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ উৎসবে যোগ দেন। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নাচ গানে মেতে ওঠেন।

পূজার প্রস্তুতি সম্পর্কে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সুস্মিতা বণিক বলেন, পুরোদমে পূজার প্রস্তুতি চলছে। বন্ধুরা মিলে পূজার বাজার করতে এসেছি। উৎসবের আমেজ চলছে। কাল আমরা পূজার পাশাপাশি নাচ-গানে মেতে উঠব।  

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রানী বলেন, আমাদের ছাত্রী হলে উৎসবমুখরভাবে সরস্বতী পূজা উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে। মেয়েরা মণ্ডপে কাজ করছে। সবাই উৎসবে মেতে উঠেছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী বলেন, আজ পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। এছাড়া পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে ও সুনামের সঙ্গে পূজা উদযাপন করা হবে। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে সরস্বতী পূজা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের উপস্থিতি পূজা উৎসবকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলবে। সরস্বতী পূজা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উদযাপন করা আরও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সরস্বতী জ্ঞান, সঙ্গীত এবং শিল্পের দেবী। বিশ্বাস করা হয় যে, তিনি মানুষের বাকশক্তি, জ্ঞান এবং শেখার ক্ষমতা দিয়ে আশীর্বাদ করেন। এভাবে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় অনুষঙ্গ নির্বিশেষে এ পূজার তাৎপর্য অনুধাবন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।