ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জবির ক্যান্টিনে সাত লাখ টাকা ‘ফাও’ খেয়েছে ছাত্রলীগ!

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
জবির ক্যান্টিনে সাত লাখ টাকা ‘ফাও’ খেয়েছে ছাত্রলীগ!

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আড়াই বছরে সাত লাখ টাকা ফাও (বিনামূল্যে) খেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো.মাসুদ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যান্টিন থেকে সাত লাখ টাকার মতো বিল না দিয়েই খেয়েছেন। এখন তাদের সবাই পলাতক। কেউই ক্যাম্পাসে আসেন না।  

কে কত টাকা না দিয়ে খেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে আড়াই লাখ টাকা।  

এ ছাড়াও বাকির হিসাবে নাম রয়েছে ছাত্রলীগের আরো অন্তত পাঁচ নেতা-কর্মীর। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির মাই ম্যান খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেনের গ্রুপ লিডার খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা।  

সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরো দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে ১২ হাজার ও নয় হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ছয় লাখ ৪১হাজার টাকা।  

কাফেটেরিয়া পরিচালক মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছেন তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেননি। এর বাইরে আরো অনেকে আছেন যারা টুকটাক খেয়েছেন, তার হিসাব নেই।  

তিনি বলেন, খেয়ে তারা টাকা দিতেন না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেই ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছেন সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

মাসুদ বলেন, এদিকে ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে এক লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো রয়েছেই। তার ওপর এতো টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কিনতে হয়। এতো টাকা এখন কীভাবে তুলবো!
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের মোবাইল ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কে এ এম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।