ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান রক্ষায় কোনো ধরনের আপস নয়’

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
‘উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের মান রক্ষায় কোনো ধরনের আপস নয়’ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিমসহ অন্যরা।

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ‘অধিকতর উন্নয়ন (দ্বিতীয় পর্যায়)’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজের মান রক্ষায় কোনো ধরনের আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) ইউজিসি প্রতিনিধিদল চলমান প্রকল্প পরিদর্শন করে।

এরপর কাজের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ কথা বলেন উপ-উপাচার্য।

সভায় প্রকল্পের কাজের গুণগতমান রক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম। এতে অংশ নেন ইউজিসির প্রতিনিধিদল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে পরিদর্শনকালীন পরিদর্শন টিম প্রকল্পের যেসব সমস্যা চিহ্নিত করেছেন সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। পাশাপাশি প্রকল্পের কার্যকর ও সময়োপযোগী বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন প্রতিনিধিরা।

সভায় কাজের গুণগতমান নিয়ে উপ-উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কাজে ব্যবহৃত মেটারিয়ালসগুলোর মানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আপস করা যাবে না। প্রতিটি কাজ গুরুত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। সাইট ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি আহ্বান থাকবে আপনারা সব সময় সরেজমিনে উপস্থিত থাকবেন। আমি যেকোনো সময় কাজ পরিদর্শনে সাইটে যেতে পারি, তখন যেন আপনাদের সেখানে উপস্থিত পাওয়া যায়। কাজের কোয়ালিটি রক্ষায় বর্তমান কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের আপস করবে না।

উপ-উপাচার্য বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবনগুলো ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা। সঠিক সময়ে কাজ শেষ করতে হলে প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা ও মান বজায় রাখতে হবে। রড, সিমেন্ট ও বালুর মতো প্রধান উপকরণে কোনোভাবেই মানের সঙ্গে আপস করা যাবে না।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের কাজ যেন ভবিষ্যতে নিজেদের গর্ব করার মতো হয়। মানুষ যেন বলতে পারে এই উন্নয়নকাজ আপনারাই করেছেন। জুনের মধ্যে আমরা কাজের সন্তোষজনক অগ্রগতি দেখতে চাই। উন্নয়ন কার্যক্রমের বাস্তব চিত্র যেন দৃশ্যমান হয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।  

সভায় ইউজিসির সার্বিক সহযোগিতার জন্য প্রতিনিধিদলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি। পাশাপাশি ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান উপ-উপাচার্য।  

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক সুরাইয়া ফারহানা, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আসিফ সিদ্দিক, সহকারী পরিচালক তানভীর মোর্শেদ ও মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।  

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জয়নাল ইসলাম চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিকাশ চন্দ্র দাস, উপ-রেজিস্ট্রার শাহীন আহমদ চৌধুরী, নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তানজিম শামস প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১০তলা বিশিষ্ট চারটি শিক্ষাভবন, একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল, একটি প্রশাসনিক ভবন, চারতলা বিশিষ্ট একটি ছাত্র হল মসজিদ, ১১তলা বিশিষ্ট একটি শিক্ষক-কর্মকর্তা কোয়ার্টার, দোতলা বিশিষ্ট একটি সেন্ট্রাল ওয়ার্কশপ, এক কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে দুটি স্প্যান ব্রিজ, একটি পাওয়ার স্টেশনের কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।