ঢাকা, শুক্রবার, ১ কার্তিক ১৪৩২, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিক্ষা

হাতের অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ শিবিরের ভিপি প্রার্থীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২:১৬, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
হাতের অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ শিবিরের ভিপি প্রার্থীর কথা বলছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‌‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট দেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতের অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‌‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরি ভবন কেন্দ্রে ভোট দেওয়া শেষে তিনি এই অভিযোগ করেন।



মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকজনের নাকি হাতের অমোচনীয় কালি প্রায় মুছে যাচ্ছে। একেবারেই পুরা উঠে গেছে এরকম না, প্রায় মুছে যাচ্ছে। গতকাল চাকসুতে এ সমস্যা হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি, এখানে যেন এমনটি না হয়। কিন্তু প্রশাসনকে বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকে অবহিত করলেও তারা তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয় না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আগে থেকেই যে ব্যাপারগুলো অবহিত করি, সেগুলোর ব্যাপারে প্রশাসন গুরুত্ব দিলে নির্বাচনটা আরও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে তাদের সুবিধা হতো। এখন যদি কোন পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ থাকে তারা যেন নেয়। অমোচনীয় কালির ব্যাপারে যেন কোন অভিযোগ না আসে তারা বিষয়টি দেখবে।

তিনি আরও বলেন, তবে এখানে শুধু অমোচনীয় কালিই শুধু ক্রাইটেরিয়া নয়। ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটা ক্রাইটেরিয়া কাজ করছে। আইডি কার্ড দেখানো, নাম থাকা, রোল থাকা সবকিছুর সমন্বয় ঘটিয়ে যেহেতু পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে, আশা করি জালভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। তবে সবকিছু শতভাগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।

সম্মিলিত শিক্ষার্থীজোটের ভিপি পদপ্রার্থী জাহিদ আরো বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষা শেষে আজকে রাকসু অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সুদীর্ঘ অপেক্ষার পরে আজকে নির্বাচন হচ্ছে, তাও আবার চারবার নির্বাচন পেছানোর পরে। আবার ডাকসু, জাকসু ও চাকসুতে নির্বাচনের প্রচারণার সময় কিন্তু কম ছিল। এখানে নির্বাচনী প্রচারণার সময়টাও সবচেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত ছিল, প্রায় ২৯ দিনের মতো। আমরা যারা প্রার্থী এবং যারা ভোটার তারা প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। আর্থিক সমস্যা, পরিশ্রমের সমস্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, প্যানেলের প্রার্থীরা সবাই মিলে অনেকের কষ্ট হয়েছে দীর্ঘ প্রচারণার কারণে। কিন্তু ভোটাররা, প্রার্থীরা, আমরা, শিক্ষার্থীরা এটা উপভোগ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই নির্বাচনটা সুন্দরভাবে হোক। অবশেষে আজকে সেই মাহেন্দ্রখন চলে এসেছে। আমি একটু আগেই ভোট দিলাম। নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু মনে হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। একটু সময় গড়ালে আরো শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আমরা মনে করি।
 
ভোটকাস্টিং বেশি হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের জাজমেন্ট আমরা এখনই দিতে চাই না। নির্বাচন কমিশনকে আমরা জাজমেন্টে রাখেছি। তাদের ব্যাপারে আমরা বলব, নির্বাচনী ফলাফল শেষ হওয়ার পরে এবং তারা যেন কোন দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ না করে এবং আমাদের প্রতি বিমাতা সুলভ আচরণ যেন না করে। বিভিন্ন দল মতের লোক নির্বাচন কমিশনে আছে, বিভিন্ন দল মতের শিক্ষকেরা প্রশাসনে আছে, তারা যেন দল মতের উর্ধ্বে এসে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে।

এসসি/এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।