ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

শাজাহানের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আরো এক শিক্ষকের পদত্যাগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪
শাজাহানের স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আরো এক শিক্ষকের পদত্যাগ

ঢাকা: নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শাজাহানের দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে আরো এক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

আমীর ইউসুফ খান নামে ওই শিক্ষক বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) স্কুল অব বিজনেসের ডিন মাহবুব রহমানের কাছে ই-মেইলে তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. মেশকাত উদ্দীনকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা ও শাজাহানের দুর্নীতি-স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে পদত্যাগপত্রে উল্লেক করেছেন।

এদিকে, জানা যায়, নর্থ সাউথের অব্যাহত অনিয়ম, দুর্নীতির কারণে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শাজাহানের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেই চাকরি চলে যায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরোধিতাকারী ও লাঞ্ছনার শিকার নারীসহ এ পর্যন্ত ৩৮ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে, শাজাহানের দুর্নীতি-অনিয়মের কারণে ডুবতে বসেছে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল উদ্বিগ্ন।

তারা এসব ট্রাস্টি বোর্ডের দুর্নীতিবাজ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

স্বাক্ষর জাল করে যারা ৫০ কোটি টাকার জমি ৫০০ কোটি টাকায় ক্রয় দেখিয়ে অর্থ লুটের মহা আয়োজন করেন, কোনোভাবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের সংশ্লিষ্টতা কাম্য নয় বলেও মনে করেন অভিভাবকরা। অবিলম্বে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, শাজাহান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন লঙ্ঘন করে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মেশকাত উদ্দীনকে বরখাস্ত করেছেন। এ ঘটনাকেই পদত্যাগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন সহকারী অধ্যাপক আমীর ইউসুফ খান। এছাড়া শাজাহানের নানা অনিয়ম, কেলেঙ্কারিসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভণ্ডামি ও নিয়মবহির্ভূতভাবে বরখাস্ত করাও পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার কারণ।

আমীর ইউসুফ খান বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরকে বরখাস্ত করার কারণেই মূলত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমি ভণ্ডামি পছন্দ করি না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।