ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শেকৃবিতে লাঞ্ছনার ঘটনায় মৌন মিছিল

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৪
শেকৃবিতে লাঞ্ছনার ঘটনায় মৌন মিছিল

ঢাকা: রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় জড়িত শিক্ষক দম্পতিকে সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে মৌন মিছিল করেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় মিছিলটি বিজনেস অনুষদ থেকে শুরু হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।



মিছিল পরবর্তী সমাবেশে অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান খান অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে বলেন, তদন্ত চলাকালীন নজরুর ইসলামকে সব পদ থেকে সাময়িকভাবে অধ্যাপক পদ এবং উচ্চ শিক্ষার ডিন পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
 
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইন, অধ্যাপক অলক কুমার পাল, অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মিজানুল হক কাজল, সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান পিন্টু, অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকরা।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সভা করা হয়। এখানে উপাচার্যকে ন্যায়সঙ্গতভাবে বিচার করার দাবি জানানো হয়।

এসময় নজরুল ইসলামের পক্ষের শিক্ষকরা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন। উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরাও এ ব্যাপারে অতি দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।  

শিক্ষক সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সাথে দেখা করেছে অর্ধশতাধিক শিক্ষকের একটি অংশ। এসময় তারা গত ১৯ নভেম্বর শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত পরিচালনা করার পূর্বে জড়িত অভিযুক্ত শিক্ষক ড. নজরুল ইসলামকে তার অধ্যাপক পদবী এবং উচ্চ শিক্ষার ডিন পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার থেকে শিক্ষকদের দুই অংশ পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনা উপাচার্যকে সময়মতো না জানানোয় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে প্রক্টর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইনকে।

এছাড়া শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হযরত আলীকে সভাপতি করে গত বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।

রোববার দুপুরে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শতাধিক ছাত্রী উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেসময় ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষক শরমিন চৌধুরী শৈলীকে সহকারী প্রভোস্টের পদ থেকে বহিষ্কার এবং সেই সঙ্গে প্রভোস্ট অসীম কুমার ভদ্রকে নিজ দায়িত্বে বহাল রাখতে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

আসন বরাদ্দকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. অসীম কুমার ভদ্রের সঙ্গে শরমিন চৌধুরী শৈলীর বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সে খবর শুনে তার স্বামী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলামের হাতে অসীম কুমার ভদ্র লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনায় শিক্ষকদের মাঝে দুটি পক্ষের সৃষ্টি হয়েছে, যারা উপাচার্য বরাবর জড়িত শিক্ষককে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পরে ওই দিন রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৪/ আপডেট: ২০৩৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।