ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

আহত সহপাঠিকে বাঁচাতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আবেদন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪
আহত সহপাঠিকে বাঁচাতে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আবেদন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোর: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বিথীর চিকিৎসা ব্যয় সংগ্রহে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

সহপাঠী, সিনিয়র, জুনিয়ার ভাই বোনেরা বিথিকে সুস্থ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে চিকিৎসা ব্যয় বাবদ ১০ লাখ টাকা সংগ্রহের জন্য রাস্তায় নেমেছেন।



সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) তারা যশোর শহরের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে সাহায্যের আবেদন করেছেন।

এর আগে রোববার (১৪ ডিসেম্বর) তারা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দাঁড়িয়ে সাহায্যের আবেদন করেছেন। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিথীর চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে বিথীকে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তত ১০ লাখ টাকা ব্যয় হবে। তাকে ঢাকায় নেওয়া হলেও চিকিৎসার ব্যয় নিয়ে শঙ্কিত তার পরিবার।

খুলনা খালিশপুরের বাসিন্দা বিথির বাবা সবজি ব্যবসায়ী ও মা গৃহিনী। তাদের পক্ষে মেয়ের চিকিৎসা ব্যয় জোগান দেওয়া সম্ভব নয়। বিথীর দুঃসময়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সহপাঠী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ও জুনিয়র ভাই বোনেরা। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

বিথীর চিকিৎসা ব্যয় সংগ্রহের নেতৃত্বে থাকা সহপাঠি কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাপস দাস বাংলানিউজকে জানান, বিথীর চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকা দরকার। তার পরিবারের পক্ষ থেকে টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাই আমরা সহপাঠীরা মিলে অর্থ সংগ্রহের জন্য একটি টিম গঠন করেছি।

প্রথম দিনে অনেকের কাছ থেকে সাড়া পেয়েছি। যাদের কাছে গিয়েছি, তারা সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। অনেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দিয়েছেন। এতে প্রথমদিনেই প্রায় এক লাখ টাকা সহযোগিতা পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) যবিপ্রবি শিক্ষার্থী আবু হানিফ ও শারমিন সুলতানা বিথী নসিমন (ইঞ্জিন চালিত ভ্যান) চড়ে ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে যশোর-চৌগাছা সড়কের পোলতাডাঙ্গা এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন হানিফ।  

এ সময় গুরুতর আহত বিথীকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বিকেলে যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকলেও শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রোববার ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।