ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ যাচ্ছে পরিবহন পুল ভবনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগ যাচ্ছে পরিবহন পুল ভবনে নতুন বিভাগের প্রথম সচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করার পর কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগকে সচিবালয়ের বাইরে পরিবহন পুল ভবনে নেওয়া হচ্ছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে বিভাগটি।

ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে দুই ভাগে বিভক্ত করার পর কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগকে সচিবালয়ের বাইরে পরিবহন পুল ভবনে নেওয়া হচ্ছে। কাজের পরিধি বৃদ্ধিতে স্থান সংকুলান না হওয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে বিভাগটি।

পরিবহন পুল ভবনের অষ্টম ও নবম তলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন এ বিভাগের দাফতরিক কাজ চলবে। প্রশাসনিক নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
 
কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রথম সচিব মো. আলমগীর সচিবালয়ের পাশেই সচিবালয় লিংক রোডে পরিবহন পুল ভবনে অফিস করা শুরু করেছেন। আগে থেকেই এ ভবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইন ও অডিট শাখার কার্যক্রম চলতো।

এদিকে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিবকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব ছাড়াও দু’জন অতিরিক্ত সচিব পরিবহন পুল ভবনে অফিস করা শুরু করেছেন। শিগগিরই অন্য কর্মকর্তারা-কর্মচারীরাও সেখানে অফিস করবেন।

পরিবহন পুল ভবনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, সরকারি যানবাহন অধিদফতর, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়, প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ দাফতরিক কাজ ছাড়াও শিক্ষা ও আইনের কিছু দাফতরিক কাজ হয়।
 
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ১২তলা ভবনটির অষ্টম ও নবম তলা খালি ছিল।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ভাগ করে গত ৩০ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনকেই। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দাফতরিক কাজ বণ্টন করেও দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নতুন সচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব ও কাজের পরিধি বিবেচনা করে দু’টি বিভাগে ভাগ করেছে। ভাগ হলেও আমরা সবাই মিলে একটিই শিক্ষা পরিবার। সবার লক্ষ্য, সমগ্র জাতির শিক্ষা, জ্ঞান ও দক্ষতা নিশ্চিত করা। মিলে-মিশে কাজ করুন। কাজের পরিধি বাড়ান, মান বাড়ান,  দ্রুত সেবা দিন’।

তিনি দায়িত্ব নিয়ে বলেন, ‘উদ্যোগী হয়ে নতুন নতুন সৃজনশীল কাজে হাত দিন, ভুল হলে দায় আমার। তবে উদ্দেশ্য অবশ্যই সৎ হতে হবে’।

সারা দুনিয়া দক্ষ জনবল খুঁজছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কারিগরি শিক্ষার পরিধি দিন দিন বাড়ছে, আরো বাড়াতে হবে। প্রয়োজনভিত্তিক দক্ষতা বাড়াতে হবে, মান বাড়াতে হবে। শিক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার খাত। কারিগরি খাত অগ্রাধিকারের অগ্রাধিকার। এ খাতকে শক্তিশালী, জোরালো ও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে’।

নবসৃষ্ট দু’টি বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব ও মাদ্রাসা বিভাগের প্রথম সচিব অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
 
অনুষ্ঠানে দুই বিভাগের সকল অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, উপ-সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব এবং দফতর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
এমআইএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।