শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার’ ও শিশু সংগঠন ‘ভোর হলো’।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাট্যব্যাক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান ময়না, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, থিয়েটারের ঢাকা বিভাগের সম্বয়ক কামরুল হাসান প্রমুখ।
নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশ এমনিতে সমস্যায় জর্জরিত। নতুন করে জঙ্গিবাদ সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। সুপ্রিম কোর্টের গ্রিক নারী মূর্তি সরিয়ে নিতে বলেছে হেফাজত। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। হেফাজত যা বলছে, তার মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে তারা দেশ ও সভ্যতার শত্রু। কারণ গ্রিক মূর্তির কোনো ধর্ম নেই। এটি মানবতার প্রতিনিধিত্ব করে। হেফজাতের এ ধরনের কার্যক্রমের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, ধর্মের সঙ্গে আমাদের বিরোধ নেই। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। অসাম্প্রদায়িক দেশে হেফাজতকে নিষিদ্ধের সময় এসেছে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে পরিচালিত হবে। ৫ মে’র মতো আরেকটি ঘটনা ঘটলে হেফাজত চিরতরে হারিয়ে যাবে এই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারি।
পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকতার প্রকাশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকতার অন্তর্ভুক্তি মেনে নেওয়া হবে না। এটি প্রতিহত ও প্রতিরোধ করার সময় এসেছে।
তৌফিক হাসান ময়না বলেন, দেশের সর্বস্তরে আজও বাংলাভাষা উপেক্ষিত। এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাতৃভাষায় পাঠদান বাধ্যতামূলক করতে হবে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বইয়ের বোঝা নিয়ে আমরা ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে চাই না। আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা চাই, যেখানে সববিষয় সংক্ষেপে থাকবে। তার মাধ্যমে শিশুরা বাংলাদেশকে জানবে।
এসময় কোচিং ব্যবস্থা নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
এসকেবি/এইচএ/