ঢাবির ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মাঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ২২তম ব্যাচের ২০৩ নম্বর কোর্স বিজনেস স্ট্যাটিসটিক্সের মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
নোটিশে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাসে উপস্থিতি ৬০ শতাংশ থেকে ৭৪ শতাংশ হলে ৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়া সাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া উপস্থিতি ৬০ শতাংশের কম হলে পরীক্ষায় অংশ করতে পারবে না বলে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে জরিমানা সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর উল্লেখ করে দেওয়া হয়। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না এমন ছয়জন শিক্ষার্থীর রোল নম্বরও প্রকাশ করা হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাস সাসপেন্ড হওয়ার পর সেমিস্টার ফাইনালের আগে শিক্ষার্থীদের সবগুলো কোর্সের ক্লাসের উপস্থিতির হার নির্ধারণ করে বিভাগীয় অফিস। উপস্থিতির হার মূল্যায়নের পর নিয়ম অনুযায়ী নন-কলেজিয়েট শিক্ষার্থীদের বিভাগভেদে ১০০০ থেকে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হয়। অথচ এই বিভাগে প্রথম মিডটার্মের আগে একটি কোর্সের উপস্থিতির হার মূল্যায়ন করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। একই বিভাগের অন্য কোনো শিক্ষক এই ধরনের নোটিশ দেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রথম মিডটার্মের আগে ১১টি ক্লাস হয়েছে। অসুস্থতা, পারিবারিক কারণে কিছু শিক্ষার্থী কয়েকটি ক্লাসে অংশ নিতে পারেনি। কম ক্লাসের মধ্যে উপস্থিতির হার নির্ধারণ করায় শতকরা হিসেবে উপস্থিতির হার কম আসে। যদি সেমিস্টার ফাইনালে এটি হিসেব করা হতো তাহলে আমরা পুষিয়ে নিতে পারতাম।
শিক্ষার্থীরা জানান, জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বেশ কিছু শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে মাঈন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে জরিমানা আদায়ের অভিযোগটি সত্য নয়। যা করা হয়েছে তা নিয়ম মেনে করা হয়েছে।
ব্যবসায় অনুষদের ডিন ও ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে জরিমানার ভয় দেখানো হয়। তবে টাকা আদায় করার কথা না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৭
এসকেবি/আরআর/এমজেএফ