বাংলানিউজকে তিনি বলেন, র্যাগিং প্রতিরোধের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর ও বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে বসেছে। সবাইকে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার সূত্রে জানা যায়, কোন ধরনের দৈহিক ও মানসিক পীড়ন, যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ, কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ, কর্তব্যকর্ম থেকে বিরত রাখার চেষ্টা, মত প্রকাশে বাধাদান, জোরপূর্বক কোনো রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী করানো বা যে কোনো ধরনের আর্থিক অনাচার, বলপ্রয়োগ ইত্যাদি বিষয় আইনের দৃষ্টিতে র্যাগিং হিসেবে গণ্য হবে।
এদিকে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক(সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) থেকে শুরু হয়েছে।
আগামী ২৩ মার্চ (বৃহস্পতিবার) প্রবেশিকা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে জানিয়েছেন প্রবেশিকা অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক অধ্যাপক রাশেদা আখতার।
ক্লাস শুরু হওয়ার পরপরই শুরু হয় নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপর র্যাগিংয়ের মত ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তাই গত বছরের মতো এবারো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
একই সঙ্গে র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনা তৈরির লক্ষ্যে দেওয়াল লিখন, পোস্টারিং ও লিফলেট বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আবিদ সরকার সোহাগ বলেন, ইতোমধ্যে র্যাগিং বিষয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বসেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে যদি একটি র্যাগিং বিরোধী সেল গঠন করতে পারি তাহলে শিক্ষার্থীরা রক্ষা পাবে।
জাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুয়েল রানা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের কর্মীদের আমরা ৠাগিং এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে এ ব্যপারে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, র্যাগিং সব থেকে বেশি হয়ে থাকে হলগুলোর গণরুমে। কারণ এখানে একত্রে অনেকজন শিক্ষার্থী থাকে। প্রক্টরিয়াল টিম র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
জেডএম/