বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ‘নির্যাতিত’ ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর যৌন নিপীড়নের লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আজগর হোসেন রাব্বী আমাকে রিহার্সেলের কথা বলে জহির রায়হান মিলনায়তনের ল্যাবে ডেকে নেয়।
এরপর আমাকে অনেকবার সে মানসিক হেনস্তা করেছে এবং ভয় দেখিয়েছে। তখন ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি। এজন্য আমি দীর্ঘদিন বিভাগে আসা বন্ধ করে দিই। এই সময়ের মধ্যে সে আমার বিরুদ্ধে আমার বন্ধুদের কাছে নানা কুৎসা রটিয়েছে।
এই ছাত্র এরপরও তার সঙ্গে অশোভন আচরণ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং নানা হুমকি দেন বলে ওই ছাত্রী অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন। এ অবস্থায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। অভিযোগপত্রে রাব্বীকে আজীবন বহিষ্কারসহ কঠিন শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজগর হোসেন রাব্বী তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন, ওই মেয়েই আমাকে অনেকদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এখন আমি নতুন একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় সে আমার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ অভিযোগ করেছে।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম ইউসুফ হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে এসেছিল। তবে যৌন নিপীড়নের বিষয় হওয়ায় তাদেরকে যৌন নিপীড়ন সেল ও উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দিতে বলেছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ হাতে পাইনি। অভিযোগ সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
জেএম