সোমবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ মত দেন তারা। ‘ক্লিনিক্যাল লিগ্যাল এডুকেশন প্রোগ্রাম: ’ল ইয়ার্স সার্ভিং দ্য কমিউনিটি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।
এতে সভাপতিত্ব করেন, আইন বিশেষজ্ঞ ব্লাস্টের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ।
পাঁচটি সেশনে আলোচনায় অংশ নেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম খান।
ইউনিভার্সিটি ’ল ক্লিনিককে সংক্ষিপ্তভাবে পরিচয় করিয়ে দেন ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা জামিল ও কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসের শিরিন লিরা।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আইনি পেশা সম্পর্কে একটি ধারণা প্রচলিত আছে, এর মাধ্যমে আইনজীবীরা খ্যাতি ও টাকা উপার্জন করতে চান। কিন্তু আইনজীবীদের মূল ভূমিকা হচ্ছে অসহায়, নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
নিজামুল হক নাসিম বলেন, আইনজীবীদের এমন মানসিকতা থাকতে হবে রাত ২টার সময়ও যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে ঘটনাস্থলে যেতে হবে। যেখানে বেআইনি কাজ হচ্ছে সেখানে যেতে হবে। শুধু চেম্বারে বসে থেকে দায়িত্ব পালন করলে হবে না।
জহিরুল ইসলাম খান বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে আইনের চর্চা করতে হবে। আর বাক স্বাধীনতার অর্থ এই নয় যে রাত ১২টার পরে অশ্লীল গান বাজানো, হাসপাতালের পাশে সমাবেশ করা। আরেকজনের স্বাধীনতা নষ্ট না করে যতটুকু করা যায় তাই স্বাধীনতা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
এসকেবি/আইএ