মাধ্যমিক ও দাখিল মাদরাসায় স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন উপলক্ষে বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন এবং তা নিয়ে রাষ্ট্রপতির মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রীর অবস্থান জানতে চাইলে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় আমরা এ বিষয়টা তুলে ধরেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমরা এখান থেকে নির্দেশ দিতে পারি না। কারণ প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় তার আলাদা আইনে চলে। আমাদের কাজ হচ্ছে শতভাগ অর্থ দেওয়া, কিন্তু ক্ষমতা শূন্যভাগ। ক্ষমতা আমরা চাই না বা চাওয়াটাও উচিৎ না। বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব আইনে চলে।
নাহিদ বলেন, আমরা উৎসাহিত করেছি, কিন্তু রাষ্ট্রপতি বলার পরেও তারা কেউই সাহস করে তার বা তাদের প্রতিষ্ঠানে নির্বাচন করতে এগিয়ে আসছেন না।
‘‘এই কথাটা (নির্বাচন) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আমরা বলছি, আস্তে আস্তে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে এবং পরিবেশ সৃষ্টি হলে যে বিশ্ববিদ্যালয় সাহস করবে তারাই শুরু করবেন। আমরা আশা করি স্কুলের প্রতিনিধি নির্বাচন দেখে তারা উৎসাহিত হবেন। ওই ব্যাপারে আমাদের মতটা পজেটিভ। তবে তারা নিজস্ব আইনে, পদ্ধতি, পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আমরা সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। ”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর এবং বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) পরিচালক মো. ফসিউল্লাহ এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জিপি/জেডএস