শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে প্রশ্ন ফাঁস রোধে এক জাতীয় সংলাপে তিনি এ অভিমত দেন।
‘এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৭: প্রশ্নফাঁস ঠেকাবো কি করে?’ শীর্ষক এই সংলাপের আয়োজন করে শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলন।
অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, কোন কোন জায়গা থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে সেটি আগে চিহ্নিত করতে হবে। সেখানে কঠোরভাবে নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি কোনো মডারেটর নৈতিকভাবে দুর্বল কিনা সেটাও দেখতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারলে লাভবান হওয়া যায়। এটি এখন ব্যবসা হয়ে গেছে। প্রশ্নপত্রের এই ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ৫-৬টি সেটে পরীক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য বিশ্লেষণ করেন শিক্ষা ও শিশু রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক রাখাল রাহা।
রাখাল রাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা নৈর্ব্যক্তিক অংশে ৪০ পাচ্ছে কিন্তু সৃজনশীল অংশে শূন্য পাচ্ছে। যে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলছে সেটিও একটি বড় প্রশ্ন।
শামসুন্নাহার চাপা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।
ফাহমিদুল হক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হলেও পুরোপুরি বন্ধে কোনো ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে আইনী ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৭
এসকেবি/আরআর