তিন শিক্ষক হলেন- শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ এবং মহাখালীর টিঅ্যান্ডটি মহিলা কলেজের প্রভাষক নাঈমা নাসরিন ও মাহাবুবুর রহমান।
রোববার (০২ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এক আদেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষা বোর্ডকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সম্প্রতি স্মার্টফোনে প্রশ্নের ছবি তুলে পরীক্ষার আগেই কেন্দ্রের বাইরে পাঠানোর অভিযোগ আসার পর গত বছর থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিবের যোগাযোগের জন্য সাধারণ ফোন ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কিন্তু এ তিন শিক্ষক স্মার্টফোন নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ট্রেজারিতে স্মার্টফোন নিয়ে প্রশ্ন আনতে গিয়েছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে স্মার্টফোনসহ ট্রেজারিতে প্রবেশপূর্বক প্রশ্নপত্র সংগ্রহের অভিযোগে তিন শিক্ষকের স্মার্টফোন বাজেয়াপ্ত করা হলো।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের এমপিও অবিলম্বে স্থগিত করে কেন তা স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে এ তিন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য ঢাকা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকালে ঢাকা কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে জানান, তিন শিক্ষককে স্মার্টফোনসহ আটক করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ৩০১৭
এমআইএইচ/জেডএস