এক, দুই ও তিন বৈশাখ (শুক্র, শনি ও রোববার) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ মেলার কার্যক্রম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক মঞ্চে গিয়ে শেষ হবে। এরপর সকাল ১০টার দিকে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার উদ্বোধন করবেন অতিথিরা।
শোভাযাত্রায় উপস্থিত থাকবেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফসহ সব বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন শনিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া তৃতীয় দিন রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে যাত্রাপালা।
এদিকে বাংলা নববর্ষকে বরণ করতে সবুজ ঘেরা এ ক্যাম্পাসে চলছে বর্ষবরণের প্রস্তুতি। বাঙালি সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের সময় পার হচ্ছে অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনগুলো পৃথকভাবে বর্ষবরণ করতে করছে ব্যানার, ফেস্টুন ও মঞ্চসজ্জার কাজ।
মেলাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। মেলা প্রাঙ্গণসহ পুরো ক্যাম্পাসকে আনা হয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতায়।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মেলা উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সর্বস্তরে সিসি ক্যামেরা ও অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। আশা করছি, সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
আরবি/আরএ