পহেলা বৈশাখের পরদিন অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে বড় বৈশাখী মেলার আয়োজন থাকার কারণেই চারুকলার শিক্ষার্থীরা ছোট পরিসরে তাদের এই মেলা করছেন।
মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, এ মেলায় রয়েছে বিভাগের শিক্ষার্থীদের হাতে তৈরি নানান রঙের হাত পাখা, ছোট-বড় আকারের সরা, নানা আকারের ঘট, বিভিন্ন ঢংয়ের মুখোশ, নানা আকৃতির অরিগ্যামি।
আয়োজকরা জানান, মেলায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সাড়া মিলছে। কেনাকাটায় কমতি নেই মেলায়। গত ১০ এপ্রিল (রবিবার) থেকে চলছে এই মেলা। প্রথম দিকে তেমন বিক্রি না থাকলেও শেষ সময়ে তা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হওয়া পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
মেলার স্টলে বিক্রির দায়িত্বে থাকা চারুকলা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি গ্রামীণ সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানে সমৃদ্ধ জিনিসের পসরা বলা যায় একে। এখান থেকে কম দামে বৈশাখের বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে পারছেন অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করার ইচ্ছে রয়েছে বলেও জানান এই শিক্ষার্থী।
মেলায় ঘুরতে আসা অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা তাবাসসুম বাংলানিউজকে বলেন, বৈশাখের বিভিন্ন সামগ্রী কিনতে আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা শাহবাগে যেতে হলেও, আমাদের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এখন এখানেই সেসব পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বাঙালিত্ব ধারণ করার যে চেষ্টা এখানে রয়েছে তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
তবে মেলাটি আরও একটু বৃহৎ আকারে করা গেলে সবার মধ্যে উৎসবের একটি আমেজ ছড়িয়ে যেতো বলেও মনে করেন জবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৭
ডিআর/জিপি/এসএনএস