ধুলা পড়ে গেছে বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে। জায়গা না থাকায় গত ৫ বছরেও গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে আসেনি নতুন কোন বই।
গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারে গিয়ে দেখা গেছে, সেলফের মধ্যে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে বিভিন্ন প্রকার বই। জায়গা না থাকায় দ্বিতীয় তলায় চেয়ার-টেবিল ও সেলফের উপরে এবং মেঝেতে সারি সারি করে রাখা হয়েছে শতশত বই। বইগুলোতে জমে রয়েছে ধুলো-বালি। যেন শত বছরেও খোলা হয়নি ওইসব বইয়ের পাতা। ফিরোজা বেগম (৩২) নামে এক নারী মেঝেতে বসে বইয়ের ধুলো-বালি ঝাড়ছেন। পুরাতন ছেঁড়াফাঁড়া বই সাজিয়ে রাখা হয়েছে আসবাবপত্রের উপরে ও নিচে।
লাইব্রেরিয়ান বেগম রুবিনা মিরাজ বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় গণগ্রন্থাগার ন্যুনতম ৩৩ শতাংশ (এক বিঘা) জমির উপর হয়ে থাকে। আমাদের গাজীপুর জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার মাত্র ১২ শতাংশ জমির উপর দ্বিতীয় তলা একটি ভবন। তাই এ গ্রন্থাগারে জায়গার খুব অভাব। যার কারণে আসবাবপত্র রাখার জায়না নেই। তাই কিছু বই সেলফ ও টেবিলের উপরে রাখা হয়েছে।
বই রাখার জায়গা না থাকায় অধিদপ্তর থেকে গত ৫ বছরেও গাজীপুর গ্রন্থাগারে নতুন কোন বই আসেনি। বই কেনার জন্য আমাদের কোন বাজেট থাকে না। অধিদপ্তর থেকেই পাঠকের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী বই পাঠায়। বর্তমানে গাজীপুর জেলা গ্রন্থাগারে বিভিন্ন প্রকার বাংলা বই ২৩ হাজার ২৫৪টি এবং ইংরেজি বই দুই হাজার ৪১৮টি।
গাজীপুর জেলা সরকারি গ্রন্থাগারের জন্য জেলা পরিষদের পাশেই নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে গত মার্চের মাঝামাঝিতে। জায়গার অভাবে দীর্ঘ দিন আটকে ছিল ভবন নির্মাণ কাজ। পরে ৩৩ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে ভবন নির্মাণ শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
আরএস/জেডএম