বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব মো. মোস্তফা কামাল আহমদ।
এসময় তিনি বলেন, গণিত, আইসিটি ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে ফেলের কারণে এবার পরীক্ষার সার্বিক ফলাফলে পাসের সূচক কিছুটা কমে গেছে।
তবে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২ হাজার ৬৬৩ জন। ২০১৬ সালের তুলনায় ৩৯৭টি বেশি। ওই বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ হাজার ২৬৬ জন। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৪ হাজার ৪শ’ ৫৭ জন ছাত্র ও ছাত্রী ৫ হাজার ৭শ’ ৯৮ জন।
তাছাড়া জেলা ভিত্তিক জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে সিলেট। সিলেটে ১ হাজার ৪২১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে ছাত্র ৭৯৩ ও ছাত্রী ৬২৮ জন।
জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মৌলভীবাজার। এই জেলায় ৫৯৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। যার মধ্যে ছাত্র ২৮৩ ও ছাত্রী ৩১০ জন। হবিগঞ্জে ৪০৩ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এরমধ্যে ছাত্র ২১৯ জন এবং ছাত্রী ১৮৪ জন। সুনামগঞ্জে ২৪৬ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ১৩২ এবং ছাত্রী ১১৪ জন।
বোর্ডের অধীনে এবার মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (এসএসসি) ৮১২ প্রতিষ্ঠানের ৯৪ হাজার ১শ’ ৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তন্মধ্যে শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
এনইউ/জেডএম