বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ তথ্য জানান প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ আহম্মেদ।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাবি প্রেসক্লাবের ২০১৫-১৬ সেশনের কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানজিদ বসুনিয়ার ¯œাতকোত্তর পরীক্ষা আগামী ১০ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকায় ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে তড়িঘড়ি করে গত ২০ এপ্রিল ভোটার তালিকা সংশোধন না করে (১৫ জন ভুয়া ভোটার নিয়ে) ২১ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে জাবি প্রেসক্লাবের নির্বাচনের জালিয়াতির খবর প্রকাশিত হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২৩ এপ্রিল জাবি প্রেসক্লাবের ৩৩জন সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের সম্মতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর নির্বাচনে জালিয়াতির বিচার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানানো হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। কিন্তু ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ৫ মে পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়। কিন্তু সমস্যা সমাধান না করেই বুধবার (৩ মে) নির্বাচনের কোন প্রক্রিয়া সম্পাদন না করেই একপাক্ষিক একটি কমিটি ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শামীম রেজা, প্রতœতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিকদার মো. জুলকারনাইন এবং আইন ও বিচার বিভাগের প্রভাষক ফেরদৌসী রহমান।
তিনি আরো জানান, বিশ^বিদ্যালয় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রকে তোয়াক্কা না করে বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের নির্দেশেই এ কমিটি ঘোষণা করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা।
তাই আমরা বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ১২টার সময় অবৈধ কমিটিকে বাতিল করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছি বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্যকে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে বসে সমস্যার সমাধান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান, কার্যকরী সদস্য আবু সায়েম, মো. মুসা, জনকন্ঠের সংবাদিক ও সদস্য দীপঙ্কর দাস, আদ্রিয়ান অরিত্রসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৭
আরআই