বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনালগ্নে প্রতিষ্ঠিত হয় লাইব্রেরিটি। বর্তমানে ৬৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের তিনতলা ভবনে মাত্র ৬০০টি আসন রয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত তিন বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে লাইব্রেরির কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণকরণ প্লান্টটি। এসি’র পরিবর্তে দেওয়া বৈদ্যুতিক ফ্যানও শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ফলে প্রচণ্ড গরমে কষ্ট করে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতে হচ্ছে তাদের।
লাইব্রেরিটিতে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যবই, থিসিস, গবেষণা সাময়িকী, সাহিত্য ও বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা মিলিয়ে মোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩০৪টি ভলিউম রয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বেশিরভাগ বই পুরনো এবং একই বইয়ের একাধিক কপির সংখ্যা কম থাকায় অনেক সময় প্রয়োজন অনুসারে বই পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা।
লাইব্রেরিতে ৭৩৮টি পিএইচডি থিসিস পেপারসহ মোট ১৬ হাজার ২০৫টি থিসিস পেপার রয়েছে। যার খুব কম সংখ্যক থিসিস পেপারই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাইরের কোনো বই নিয়ে আমরা লাইব্রেরিতে ঢুকতে পারি না। এ কারণে লাইব্রেরির বই ছাড়া আমাদের নিজস্ব বই পড়ার সুযোগ পাই না। বাইরের বই নিয়ে গিয়ে পড়ার আলাদা পাঠকক্ষ করা প্রয়োজন’।
লাইব্রেরি সাইবার সেন্টারে ২৫টি কম্পিউটার থাকলেও মাত্র ১৪-১৫টি ব্যবহারের উপযোগী।
এছাড়াও রয়েছে একটি অত্যাধুনিক এবি স্ক্যানার, যা দিয়ে পুরনো ও অব্যবহারযোগ্য বইপত্র ডিজিটালি সংরক্ষণ করা হতো। কিন্তু এখন টেকনিশিয়ানের অভাবে সেটি ব্যবহার করা হচ্ছে না।
লাইব্রেরিতে সাইকেল রাখার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হন বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সপ্তাহের ৫ দিন সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এবং শনিবার অর্ধদিবস লাইব্রেরি খোলা থাকে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা শুক্র ও শনিবারও পূর্ণদিবস লাইব্রেরি খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।
ডেপুটি লাইব্রেরিয়ান একরামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো আমাদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিটিকে ফ্যাকাল্টিভিত্তিক বিকেন্দ্রীকরণ করা উচিত। তাহলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই তাদের হাতের নাগালে বই পেয়ে যাবেন। এতে আমরা একসঙ্গে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে লাইব্রেরিতে নিয়ে আসতে পারবো। এভাবেই এ লাইব্রেরিটিও একদিন বিশ্বের অন্যতম সেরা লাইব্রেরিতে পরিণত হবে বলে আমি আশা করি’।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১২ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
এএসআর