শনিবার (২৭ মে) বিকেল ৩টায় ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা এ ভাংচুর চালান।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলামের কক্ষ, দুই সহকারী প্রভোস্টের কক্ষ এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার শাকিল চৌধুরীর কক্ষে জানালার কাঁচ ও নামফলক ভেঙেছেন ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা।
ক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা জানান, প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে হলে আসেন না। এ হলে পানি না থাকাটাই এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। কোনো অভিযোগ প্রভোস্ট আমলে নেন না বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবির আহম্মেদ মিথেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের হলে গ্যাস ও খাবার পানির তীব্র সংকট রয়েছে। মাঝে মাঝে খাবার পানি থেকেও ময়লা ও দুর্গন্ধ আসে। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকেই হলের শিক্ষার্থীরা ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ভাংচুরের পর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত হল প্রশাসনের কেউ পরিদর্শনে আসেননি। তবে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, সহকারী প্রভোস্টরা হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছেন।
আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের আবাসিক কক্ষে ফ্যানের ক্যাপাসিটর, সকেট, সুইচ ইত্যাদি নষ্ট হলে নিজেদেরই কিনতে হয়। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য আবাসিক হলে হল প্রশাসন থেকেই এসব চাহিদা পূরণ করা হয়।
এ অভিযোগও অস্বীকার করে প্রভোস্ট বলেন, ফ্যানের ক্যাপাসিটর, সকেট, সুইচ ইত্যাদি নস্ট হলে হল থেকেই সবসময় দেওয়া হয়েছে।
পানি সংকট বিষয়ে জানতে চাইলে প্রভোস্ট বলেন, বিষয়টি শুনেছি। সমস্যা সমাধানে আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে সমস্যা সমাধানের জন্য ওয়াসাকে পানি দিতে বলেছি। রোজার সময় পানি সমস্যা থাকবে না বলেও জানান প্রভোস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৭
জেডএস