শনিবার (২৭ মে) রাত ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবনে এক জরুরি সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. আমির হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের নির্দেশে ৪২জন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান এডিশনাল এসপি আশরাফুল আজীম।
এদিকে রোববার (২৮ মে) সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। নিজেদের হলে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।
ইতিহাস বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্ত হঠকারিতা ছাড়া কিছুই না। একাধিক বিভাগে ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আবার অনেক বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ রয়েছে চলতি মাসে। সামনে বিসিএস পরীক্ষা। চাকরি পরীক্ষা দিচ্ছে অনেকে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা অভাবনীয় ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। এতে এক সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাসহ ১০জন শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশ ৪২জন শিক্ষার্থীকে আটক করে।
শুক্রবার (২৬ মে) ভোর ৫টায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় আল বেরুনী হলের মার্কেটিং বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান রানা ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরাফাত নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
জিপি/এমআরপি