শনিবার (৩জুন) বিকেল তিনটায় জরুরি এক সিন্ডিকেট মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বাংলানিউজকে জানান সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. আমির হোসেন।
তিনি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে আগামী ৮জুন আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, মামলার বিষয়টি একটু জটিল হওয়ায় আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে প্রসেস অনুযায়ী কাজ শুরু করা হবে।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবি সমূহ আছে সেগুলো মেনে নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৫ লাখ করে টাকা দেওয়া হবে সঙ্গে তাদের পরিবারের একজন ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।
গত ২৬ মে ভোরে জাবির দুই শিক্ষর্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় কয়েদ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ হামলা চালাতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ৪২জন শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ৩১জন শিক্ষার্থীর নামসহ ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আর চলমান পরীক্ষাগুলো স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
বিএস